মহেশখালী-মাতারবাড়ীতে নতুন শহরের জন্ম হবে: প্রধান উপদেষ্টা

৩ সপ্তাহ আগে
মহেশখালী-মাতারবাড়ীতে শুধু গভীর সমুদ্রবন্দর নয়, বরং একটি নতুন শহরের জন্ম হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় নবগঠিত মহেশখালী সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (মিডা) সদস্যদের সঙ্গে বৈঠককালে প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
 

বৈঠকে নেতৃত্ব দেন মিডার চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুণ। উপস্থিত ছিলেন সদস্য কমোডর তানজিম ফারুক ও মো. সারোয়ার আলম, প্রধান উপদেষ্টার এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব মো. সাইফুল্লাহ পান্না।


বৈঠকে মহেশখালী-মাতারবাড়ী প্রকল্পের তিন ধাপের পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন মিডার চেয়ারম্যান। তিনি জানান, প্রকল্পের প্রথম ধাপ ২০২৫ থেকে ২০৩০, দ্বিতীয় ধাপ ২০৩০ থেকে ২০৪৫ এবং তৃতীয় ধাপ ২০৪৫ থেকে ২০৫৫ সাল পর্যন্ত চলবে। এটি বাস্তবায়িত হলে প্রায় ২৫ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে এবং দেশের জিডিপিতে দেড়শ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যুক্ত হবে।
 

আরও পড়ুন: মাতারবাড়ী ও মহেশখালীকে সিঙ্গাপুর-সাংহাইয়ের মতো গড়তে চাই: আশিক চৌধুরী


প্রধান উপদেষ্টা গভীর সমুদ্রবিষয়ক গবেষণা ও ব্লু ইকোনমি গড়ে তোলার ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন। তিনি মহেশখালীতে একটি আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন এবং এ ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেয়ার আহ্বান জানান।


ড. ইউনূস বলেন, ‘ওই এলাকা কেবল ফ্যাসিলিটেটিং জোন হবে না, বরং আন্তর্জাতিক কানেকটিভিটির কেন্দ্র হয়ে উঠবে। সমুদ্রই হবে বিশ্বের পথে আমাদের মহাসড়ক।’


তিনি বলেন, ‘আমরা সমুদ্র জগতে কখনও প্রবেশ করিনি। এ বিষয়ে গবেষণা ও নিজস্ব একাডেমিয়া তৈরি করতে হবে। ওশান ইকোনমি নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করা জরুরি।’


এ ছাড়া পরিবেশ সংরক্ষণ ও বনভূমি রক্ষার দিকেও জোর দেন প্রধান উপদেষ্টা। বৈঠকে ইকো-টুরিজম পার্ক গড়ে তোলার সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা হয়।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন