সোমবার (৪ আগস্ট) বিকেলে আগ্রাবাদ কমার্স কলেজের সামনে মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে মশক নিধন ও জনসচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ কার্যক্রমে এ কথা বলেন তিনি।
মেয়র জানান, আগামী চার মাস নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত লার্ভিসাইড এবং বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ফগিং কার্যক্রম চলবে। শিকাগো শহর থেকে আনা বিটিআই (Biological Larvicide) ওষুধও লার্ভা ধ্বংসে ব্যবহার করা হবে।
তিনি বলেন, ‘প্রতিটি ওয়ার্ডে পরিচ্ছন্নতা বিভাগের কর্মকর্তাদের মোবাইল নম্বরসহ দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছে। জনপ্রতিনিধি ও নাগরিকদের সঙ্গে সমন্বয় করে এলাকার পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিতে উদ্যোগ নিতে হবে। জনগণের সেবক হিসেবে পরিচ্ছন্ন কর্মীদের দায়িত্বশীল থাকতে হবে।’
ডা. শাহাদাত আরও বলেন, ‘ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোধে জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ জরুরি। বাসাবাড়িতে জমে থাকা পানি, ডাবের খোসা, বালতি কিংবা প্লাস্টিক জাতীয় বর্জ্য অপসারণে সতর্ক থাকতে হবে। এগুলোর মধ্যে পানি জমে এডিস মশার লার্ভা জন্মায়।’
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে গেস্ট হাউজে মিলল সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশীদের মরদেহ
মেয়র জানান, পর্যাপ্ত পরিমাণে ওষুধ মজুদ রাখা হয়েছে এবং প্রতিদিন সকাল ও বিকেলে দুই দফায় ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। তিনি নিজেই মাঠপর্যায়ে কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছেন এবং প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে তথ্য নিচ্ছেন।
নগরীর সড়ক পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘টানা দুই মাসের ভারী বর্ষণে নগরীর অনেক সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ছয়টি জোনে ভাগ করে প্রতিটি জোনে একজন নির্বাহী প্রকৌশলীর নেতৃত্বে সড়ক মেরামত শুরু হয়েছে। অতিবৃষ্টির কারণে কিছুটা গতি কম থাকলেও কাজ অব্যাহত আছে।’
জলাবদ্ধতা বিষয়ে মেয়র জানান, নগরীতে ৫০-৬০ শতাংশ জলাবদ্ধতা নিরসন সম্ভব হয়েছে। বাকি অংশে খাল খনন, ড্রেন সংস্কার এবং সুইস গেট নির্মাণ চলছে। ভবিষ্যতে দ্রুত সমস্যার সমাধানে নালা-নর্দমায় সেন্সর প্রযুক্তি সংযোজনের পরিকল্পনাও রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সিটি করপোরেশন, সিডিএ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বন্দর কর্তৃপক্ষ ও ওয়াসা সব সংস্থাকে সঙ্গে নিয়ে সমন্বিতভাবে কাজ করছি।’
শেষে মেয়র বলেন, ‘মশক নিধন এবং নগর উন্নয়নে নগরবাসীর সহযোগিতা থাকলে আমরা একটি ক্লিন, গ্রিন, হেলদি ও সেফ চট্টগ্রাম গড়ে তুলতে পারব।’
]]>