ময়মনসিংহে চড়া সবজির পাইকারি বাজার, কেজিতে বেড়েছে ৫-২০ টাকা

৩ সপ্তাহ আগে
সরবরাহ কমের অজুহাতে ময়মনসিংহে চড়া সবজির পাইকারি বাজার। সপ্তাহ ব্যবধানে প্রকারভেদে সবজির দাম বেড়েছে ৫ থেকে ২০ টাকা। যার প্রভাব পড়ছে খুচরা বাজারেও।

ময়মনসিংহ নগরীর মেছুয়া বাজার। ভোর থেকেই দরদাম আর কেনাবেচায় ব্যস্ত হয়ে ওঠে এই পাইকারি আড়ত। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সরজমিনে আড়তঘুরে দেখা যায়, পাইকারিতেই বেশ চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে বেশিরভাগ সবজি।

 

পাইকারি বাজারে কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে পটল ৫০ ও বেগুন ৫০-৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে করলা ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, কাচামরিচ ১৫০ টাকা, টমেটো ১১০ টাকা ও গাজর ১০০ টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে।

 

বরবটি ও ঢ্যাঁড়স কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা পর্যন্ত। কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। আগাম শিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া কয়েকটি সবজির দাম স্থিতিশীল রয়েছে। ঝিঙে ৫০ টাকা, ধুন্দল ও কচুর লতি ৪০ টাকা, মুখি কচু ১৫ টাকা, পেঁপে ১২-১৪ টাকা ও মিষ্টি কুমড়া ৩৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

 

আরও পড়ুন: সবজি কিনতেই পকেট ফাঁকা!

 

পাইকারি বাজারে দাম বাড়ার প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। খুচরায় কেজি প্রতি আরও ১০ থেকে ২০ টাকা বেশি গুণতে হচ্ছে সাধারণ ভোক্তাদের। ঊর্ধ্বমুখী এই বাজারে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের ক্রেতারা পড়েছেন বিপাকে। অনেকে প্রয়োজনের তুলনায় কম কিনে ফিরতে হচ্ছে বাড়ি।

 

ভোক্তারা বলছেন, বাজার মনিটরিং দুর্বল থাকায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সামাদ নামে এক ক্রেতা বলেন, বাজারে কার্যকরী কোনো মরিটংরিং ব্যবস্থা নেই। এই সুযোগে ব্যবসায়ীরা খেয়ালখুশি মতো দাম রাখছেন।

 

খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, দাম চড়া থাকায় একদিকে পুঁজি যেমন বেশি লাগছে, তেমনি বিক্রিও হচ্ছে কম। জামাল নামে এক খুচরা ব্যবসায়ী বলেন, সবিজর দাম বাড়ায় ক্রেতারা পরিমাণে কম কিনছেন। এতে বেচাকেনা কমে গেছে।

 

আর আড়তদার আলমগীর হোসেন জানান, আবহাওয়ার তারতম্য ও সরবরাহ কম থাকায় চড়া সবজির বাজার। বৃষ্টির কারণে অনেকের ফসল ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে। যার কারণে সরবরাহ অনেক কম। আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে শীতের সবজি বাজারে আসা শুরু হলে দাম অনেক কমবে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন