বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা মোজাম্মেল হক আকন্দ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
জানা যায়, দীর্ঘদিন শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি সংগঠনে নিষ্ক্রিয় ছিলেন। তিনি ময়মনসিংহ-৬ (ফুলবাড়িয়া) আসন থেকে তিন দফা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও জয় লাভ করতে পারেননি। অসুস্থতার কারণে ২০২২ সাল থেকে ফুলবাড়িয়া উপজেলায় জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ কামরুল হাসান মিলন গণসংযোগ শুরু করেন। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি দলীয় মনোনয়নও পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: আপন চাচাতো ভাইয়ের মেয়ে কি মাহরাম?
তবে সাম্প্রতিক সময়ে দলের ভেতরে একটি অংশ অধ্যাপক জসিম উদ্দিনকে পুনরায় মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে সক্রিয় হয়ে ওঠে। গত শনিবার ‘ফুলবাড়িয়া ঐক্যবদ্ধ জনতা’ ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে অধ্যাপক জসিম উদ্দিনকে প্রার্থী করার দাবি তোলা হয়।
জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় নির্দেশনায় বলা হয়েছে, অধ্যাপক জসিম উদ্দিনের সামগ্রিক তৎপরতা দলের সুনাম ও শৃঙ্খলা ক্ষুণ্ন করছে। গঠনতন্ত্রের ধারা লঙ্ঘনের কারণে জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদের বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে তার সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা মোজাম্মেল হক আকন্দ বলেন,
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী শৃঙ্খলার প্রশ্নে আপোষহীন। ব্যক্তিবিশেষ বা গোষ্ঠীর ঊর্ধ্বেও আমরা শৃঙ্খলা রক্ষা করেছি এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে।
অধ্যাপক জসিম উদ্দিন বলেন, আমি সংগঠনের সুনামহানিকর বা গঠনতন্ত্রবিরোধী কোনো কাজ করিনি। ওই মিছিলে আমি জড়িত নই। আমি সাংগঠনিক সিদ্ধান্তের বাইরে কিছু করব না এবং এমপি হওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই।
]]>