রোববার (৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ২টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মেঘনা সেতুর ঢালে এ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। তবে কেউ আহত হননি।
জানা গেছে, মুখোশধারী ছিনতাইকারীরা হামলা চালিয়ে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গাড়ির জানালার কাঁচ ভেঙে অস্ত্রের মুখে সবাইকে জিম্মি করে ৮ জনের সঙ্গে থাকা নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। ওই গাড়িতে পাঁচজন তরুণ ও তিনজন তরুণী সমন্বয়ক ছিলেন।
ঘটনার পর গাড়িতে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব আরিফ সোহেল ফেসবুক লাইভে এসে ভিডিওসহ ছিনতাইয়ের ঘটনার বিষয়টি প্রকাশ করেন।
এ সময় তিনি জানান, রাত ১টার সময় তার নেতৃত্বে ৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকা থেকে ভাড়া করা একটি মাইক্রোবাসে চড়ে বান্দরবানের লামার উদ্দেশে রওনা দেন। রাত ২টায় তাদের গাড়িটি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার মেঘনা সেতুর ঢালে পৌঁছালে তারা ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন। এ সময় ছিনতাইকারীরা অস্ত্রের মুখে তাদের গাড়ি রোধ করে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে মাইক্রোবাসের বাম পাশের জানালার কাঁচ ভেঙে দেয়।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে সমন্বয়ক হাবিবকে কুপিয়ে জখম
তিনি আরও জানান, ছিনতাইকারীরা অস্ত্রের মুখে তাদের জিম্মি করে নগদ ১০ হাজার টাকা ও তিনটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
ফেসবুক লাইভে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব আরিফ সোহেল হাইওয়ে পুলিশের দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক সোনারগাঁ থানা পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়। তবে এর আগেই ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ মাইক্রোবাসটি হেফাজতে নেয়। পরবর্তীতে প্রতিনিধি দলের ৩ জন অন্য গাড়িতে ঢাকার ফিরে যান এবং অপর ৫ জন আরেকটি মাইক্রোবাস ভাড়া করে পুনরায় বান্দরবানের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
ঘটনার সময় মহাসড়কের ঘন কুয়াশা ছিল এবং মহাসড়কে প্রায় সব যানবাহন ধীর গতিতে চলছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে। এছাড়া ঘটনায় এখন পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল বারী বলেন, ‘ঢাকা থেকে বান্দরবান যাওয়ার পথে সোনারগাঁয়ের মেঘনা টোলপ্লাজা এলাকায় হামলা ও ছিনতাইয়ের শিকার হন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়করা। এ বিষয়ে আমাদের তদন্ত চলছে এবং তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’