মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে তারা নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা দখলে নেয়ার বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদও জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে তারা আরও বলেন,
আল্লাহর পক্ষ থেকে মজলুম গাজাবাসীর জন্য সাহায্য ও গণহত্যাকারী ইসরাইলের ধ্বংস কামনায় সারা দেশে আমরা কুনুতে নাজেলার আমল চালু করার জন্য মসজিদের ইমাম ও ওলামায়ে কেরামের প্রতি আহ্বান করছি। খোদার সাহায্য এবং মুসলিম বিশ্বের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ ছাড়া জালিম দখলদার অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলকে নির্মূল করা যাবে না। দুনিয়াজুড়ে অশান্তি ও অস্থিরতার মূল কারণ এই জায়োনিস্ট রাষ্ট্র। দক্ষিণ এশিয়ার আরেক ইসরাইল হয়ে উঠেছে হিন্দুত্ববাদী ভারত। চরম অত্যাচারিত সংখ্যালঘু ভারতীয় মুসলমানদের জন্যও কুনুতে নাজেলা পাঠ করুন।
তারা বলেন, বৈশ্বিক হরতাল পালন ও শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচির সুযোগে কিছু উচ্ছৃঙ্খল যুবক (আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের দোসর) দেশের কয়েকটি জায়গায় বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে লুটপাট করেছে। লুটপাটকারী ও হামলাকারীদের অতিদ্রুত শনাক্ত করে ব্যবস্থা নিতে এবং এর নেপথ্যে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের ইন্ধনের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে আহ্বান করছি। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, লুটপাটকারী ও হামলাকারীরা কোনোভাবেই তৌহিদি জনতার অংশ হতে পারে না। বাংলাদেশের আপামর তৌহিদি জনতা সবসময় শান্তিপূর্ণ আন্দোলন-সমাবেশ করে এসেছে। যারাই হঠকারী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আলেম সমাজ ও তৌহিদি জনতাকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করবে, আমরা আলেমসমাজ তাদের প্রত্যাখ্যান করি।
আরও পড়ুন: মসজিদে আকসা ও ডোম অব দ্য রক একই নাকি আলাদা?
নেতারা আরও বলেন, নেতানিয়াহুর সাথে বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা দখলে নেয়ার যে বক্তব্য রেখেছেন, আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করছি। তার বক্তব্য জাতিসংঘ সনদের ২ নং আর্টিকেল লঙ্ঘন করে। গাজা একটি স্বাধীন ভূখণ্ড। বিশ্বের কোনো স্বাধীন ভূখণ্ড দখল বা নিয়ন্ত্রণের অধিকার তার নেই। খুনি কসাই নেতানিয়াহুর দোসর হিসেবেই তিনি এমন বক্তব্য দিয়েছেন। তার এই খায়েশ কখনোই পূরণ হবে না ইনশাআল্লাহ। বরং শান্তিবিরোধী ইসরাইলের ধ্বংসেই পৃথিবীর সুন্দর মানবিক ভবিষ্যৎ নিশ্চিত হবে।
]]>