মগবাজারে দুর্ধর্ষ ছিনতাই: গ্রেফতার তিনজনের জেলে পরিচয়

২ দিন আগে
চুরি মামলায় গ্রেফতার হয়ে জেলে গিয়ে পরিচয় সোহেল, শামীম ও জীবনের। জেল থেকে বেরিয়ে তিনজন মিলে গড়ে তোলেন দুর্ধর্ষ ছিনতাইকারী চক্র। কেরানীগঞ্জে থাকেন বাসা ভাড়া নিয়ে, বসিলায় পরিত্যক্ত ভবনে এসে মিলিত হয়ে করেন ছিনতাই পরিকল্পনা। এরপর অন্য কোন থানা এলাকায় করেন ছিনতাই।

রাজধানীর মগবাজারে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে দুর্ধর্ষ ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত এই তিনজনসহ চার জনকে গ্রেফতারের পর এসব তথ্য দিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। উদ্ধার করা হয় লুণ্ঠিত মালামাল ও ছিনিতাইয়ে ব্যবহৃত চাপাতি ও ছুরি।


১৮ মে ভোর ৫টা ২২ মিনিটে রাজধানীর হাতিরঝিল থানার মগবাজারের নয়াটলা দিয়ে যাচ্ছিলেন এক যুবক। মোটরসাইকেলে তিনজন এসে গতিরোধ করে তার সঙ্গে থাকা সব কিছুই ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে।


এতে বাধা দিতেই চাপাতি দিয়ে বেধড়ক কোপাতে থাকে ছিনতাইকারীরা। সর্বস্ব হারানোর ভয়ে যতবারই কাকুতি মিনতি করেছে ততবারই আরও বেশি চড়াও হয়েছে ছিনতাইকারীরা। সব হারিয়ে পুলিশের কাছে গিয়েও সাহায্য পাননি বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর।


ছিনতাইয়ের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুহূর্তে ভাইরাল হলে নড়ে চড়ে বসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঘটনার ১১ দিন পর অবশেষে বৃহস্পতিবার মোহাম্মদপুরে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় ঘটনায় জড়িত চারজনকে। উদ্ধার করা হয় লুণ্ঠিত মালামাল। ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত চাপাতি, ছুরি ও মোটরসাইকেল।


আরও পড়ুন: দিন-দুপুরে মগবাজারে দুর্ধর্ষ ছিনতাই, গ্রেফতার ৩


গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, গ্রেফতার সোহেল রানা এই চক্রের প্রধান। শামীম ও হৃদয়কে নিয়ে ছিনতাই করে সোহেল। গ্রেফতার মকবুল তাদের লুণ্ঠিত মালামাল বিক্রির কাজে সহায়তা করে। চুরির মামলায় জেলে গিয়ে পরিচিতির পর থেকে একসঙ্গে ছিনতাই করে তারা।


ডিএমপির গোয়েন্দা তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ রাকিব খাঁন বলেন, ছিনতাইকারীরা কেরানীগঞ্জে থাকলেও বসিলায় পরিত্যক্ত ভবনে এসে মিলিত হয়ে ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে। অন্য এলাকায় ছিনতাই করে। গ্রেফতার এড়াতে একাধিক সিম এবং মোবাইল ফোন নিয়মিত পরিবর্তন করে মুহূর্তে আত্মগোপনে চলে যায় তারা। ছিনতাইয়ের পর ব্যবহৃত মোটরসাইকেলেরও রং পরিবর্তন করে তারা।

 
গ্রেফতার সবাই মাদকাসক্ত। ইয়াবা খেয়ে রাতভর জেগে থেকে ছিনতাই করে বলেও জানিয়েছে ডিবি।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন