মই বেয়ে উঠতে হয় ৪ কোটি টাকার ব্রিজে!

২ দিন আগে
শুধুমাত্র সংযোগ সড়কের অভাবে নেছারাবাদ উপজেলার দৈহারী ইউনিয়নে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা নির্মিত একটি ব্রিজ পরিণত হয়েছে মরণফাঁদ। সংযোগ সড়কহীন এলজিইডির এ ব্রিজটির একপ্রান্ত সড়ক বিভাগের রাস্তার উপর থাকায় ব্রিজ থেকে নামা মানুষ ও সড়কে যাতায়াতকারী যানবাহন প্রায়ই ‍দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে।

দৈহারী ইউনিয়ন পরিষদের সামনে দিয়ে বয়ে যাওয়া খালের দুই পাড়ে অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, তিনটি বাজার, সাইক্লোন শেল্টার এবং দুইপাড়ে ২০টির মতো গ্রাম থাকায় এখানে নির্মিত ব্রিজটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।  প্রতিদিন ব্রিজটি ব্যবহার করে তিনটি উপজেলার প্রায় অর্ধ লক্ষ মানুষ যাতায়াত করেন।


এ রুটের দৈহারী ইউনিয়ন পরিষদের সামনের ব্রিজটি পুরাতন হয়ে যাওয়ায় পুনঃনির্মাণ করে এলজিইডি। এলজিইডির ৪৮ মিটার দৈর্ঘ্যের ব্রিজটি ৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণের কাজ পায় আমির ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড এসএস বিল্ডার্স। দুই বছর ফেলে রাখার পর ২০২৪ এর শেষের দিকে এটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়। কিন্তু ব্রিজ হলেও নির্মিত হয়নি এর সংযোগ সড়ক। পূর্বপ্রান্ত সড়ক ও জনপথ বিভাগের রাস্তার উপর থাকায় ব্রিজে ওঠা-নামার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে মই। তবে মইটি রাস্তায় উপর থাকায় ব্রিজ থেকে নিচে নামা মানুষ ও সড়কে যাতায়াতকারী যানবাহনের সঙ্গে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।


এ পথ দিয়ে নিয়মিত চলাচলকারী স্থানীয় বাসিন্দা ফিরোজ আহমেদ বলেন, অনেক দিন ধরে এভাবেই পড়ে আছে ব্রিজটি। আমরা শুধুমাত্র সংযোগ সড়কের অভাবে এপার থেকে ওপারে যেতে পারি না। এলাকাবাসী বাধ্য হয়ে মই ব্যবহার করে যাতায়াত করছে। ফলে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয় এ পথে চলাচলকারীদের। যাতায়াত সমস্যা সমাধান করতে স্থানীয় সরকার বিভাগ কোটি কোটি টাকা খরচ করে তৈরি করেছে মৃত্যুফাঁদ।  


আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় একটা ব্রিজ চান ১৫ গ্রামের মানুষ


স্থানীয় বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম বলেন, ব্রিজটি নির্মাণের শুরু থেকেই আমরা ঠিকাদারের টালবাহানা দেখেছি। ব্রিজের মধ্যখানে দেবে যাওয়ায় এলাকাবাসীর অভিযোগে ব্রিজের কাজ দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল। তারপর অদৃশ্য ইশারায় ব্রিজের কাজ শেষ না করে এখন পালিয়ে গেছে ঠিকাদার। ফলে আমরা চরম ভোগান্তিতে আছি।


ব্রিজটির ব্যাপারে জানতে চেয়ে একাধিকবার এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী রনজিত দে-এর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও বিভিন্ন অজুহাতের তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।


তবে পিরোজপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী তানভীর আহমেদ বলেন, অ্যাপ্রোচ নির্মাণ করলে সড়ক বিভাগের রাস্তাটি বিভক্ত হয়ে পড়বে।

 

তিনি বলেন, ব্রিজের সঙ্গে মই ব্যবহারের বিষয়টি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। সংশ্লিষ্ট দফতরকে এটি সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন