দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে বাংলাদেশ। দুর্নীতিকে নীতি বানানো বিগত সরকারের পতন হলেও জীবনযাত্রার ব্যয় একটুও কমেনি। জিনিসপত্রের দামের উত্তাপে পুড়ছে ক্রেতাদের হাত। এরই মাঝে উদ্যোগ ভ্যাটের হার বাড়ানো।
তবে বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত পূরণে নয়, বরং রাজস্ব বাড়ানোর স্বার্থেই বিভিন্ন পণ্যের ওপর ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে। তবে ৪৩টি পণ্যের উপরে ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্তে নিত্যপণ্যের দামের ওপরে প্রভাব পড়বে না।
আরও পড়ুন: ভ্যাট বাড়লেও প্রভাব পড়বে না নিত্যপণ্যে: অর্থ উপদেষ্টা
এদিকে, কেন্দ্রীয় গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর সুদের হার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছেন। উদ্দেশ্য, টাকার সরবরাহ কমিয়ে সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি বাস্তবায়ন। তবে সম্প্রতি সময় সংবাদকে দেয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন,
সরকার যেভাবে মুদ্রানীতি কার্যকরভাবে আরোপ করছে সেটার সামগ্রিক সুফল বাজারের থেকে নিতে পারছে না। বাজার ব্যবস্থাপনায় নজর দেয়ার পাশাপাশি ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবির) আওতা বাড়াতে হবে। একইসঙ্গে গরিব মানুষকে দেয়া ভাতার সঠিক প্রাপ্যতাও নিশ্চিত করতে হবে।
অর্থনীতির শ্বেতপত্র বলছে, এসব কর্মসূচির সুবিধাভোগীর প্রায় অর্ধেকই ভুয়া। এই তালিকা সংস্কারের পরামর্শ এসেছে। অন্যদিকে, ব্যাংকের তারল্য সংকট নিরসনে ছাপানো সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা মূল্যস্ফীতি উসকে দেবে কিনা, প্রশ্ন ছিল ড. দেবপ্রিয়ের কাছে।
তিনি বলেন, দেউলিয়া হওয়া থেকে বাঁচাতে টাকা ছাপিয়ে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে দেয়া হয়েছে। ব্যাংকগুলো যদি এই টাকা উৎপাদন ও কর্মসংস্থান খাতে বিনিয়োগ করতে পারে তাহলে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রত্যাশা সফল হবে। প্রভাব পড়বে না মূল্যস্ফীতিতে।
এই অর্থনীতিবিদ আরও বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে খাদ্য মজুত পরিস্থিতির দিকেও নজর দিতে হবে। ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত সরকারি গুদামে ১১ লাখ ৭৮ হাজার টনের বেশি ধান, চাল ও গম মজুত আছে।
]]>