ভোলায় ৪৪ ঘণ্টা পর বাস ধর্মঘট প্রত্যাহার

২ সপ্তাহ আগে
ভোলায় বাস ও সিএনজি চালকদের বিরোধে ডাকা বাস ধর্মঘট প্রায় ৪৪ ঘণ্টা পর প্রত্যাহার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ মে) জেলা প্রশাসনের সঙ্গে প্রায় তিন ঘণ্টা বৈঠকের পর বেলা দুইটার দিকে ধর্মঘট তুলে নেয়া হয়। এরপর অভ্যন্তরীণ ৫ রুটে বাস চলাচল শুরু হয়।

রাস্তায় চলাচল ও যাত্রী তোলা নিয়ে গত রোববার বিকালে বাস ও অটোরিকশা চালকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দেয় বাস শ্রমিক ইউনিয়ন।

 

এই নিয়ে দু’পক্ষের বিরোধ মিটিয়ে যাত্রী দুর্ভোগ লাগবে বাস শ্রমিক মালিক ও সিএনজি মালিক পক্ষকে নিয়ে মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহানের সভাপতিত্বে জরুরি বৈঠক হয়।

 

সভায় উপস্থিত ছিলেন ভোলা পুলিশ সুপার মো. শরিফুল হক, ভোলা পৌরসভার প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাহাদাৎ মো হাচনাইন পারভেজ, ভোলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি আমিনুল ইসলাম খান, সিএনজি অটোরিকশা মালিক সমিতির সভাপতি মো. জাকির হোসেন, বাস, মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. মিজানুর রহমানসহ রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনের নেতা, সরকারি বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তারা।

 

আরও পড়ুন: ভোলায় তৃতীয় দিনের বাস ধর্মঘট চলছে, যাত্রীদের ভোগান্তি চরমে

 

এতে প্রশাসনের মধ্যস্থতায় বাস ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়। এরপর ভোলা বীর শ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাসস্ট্যান্ড থেকে ভোলা জেলার বিভিন্ন রুটে বাস চলাচল শুরু হয়।

 

এদিকে জেলা প্রশাসনের বিচার শাখা সূত্র ও বাস মালিক সমিতির নেতারা সাংবাদিকদের জানান, কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণের কারণে সমঝোতা বৈঠকের পরে শ্রমিক ইউনিয়ন বাস ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছে। বৈঠকে  আটটি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

 

আরও পড়ুন: ভোলায় অনির্দিষ্টকালের বাস ধর্মঘট, ভোগান্তি

 

সেগুলো হলো ভোলার মধ্যে থাকা মহাসড়কে (বরিশাল ভোলা চট্টগ্রাম মহাসড়কের অংশ) কোনো থ্রিহুইলার চলবে না, তবে আঞ্চলিক মহাসড়কে (ভোলা চরফ্যাশন আন্তমহাসড়ক) চলবে। সিএনজি চালিত অটোরিকশার চালক তার দুইপাশে (সামনে) কোনো যাত্রী নিতে পারবে না। বাস মালিক সমিতির নেতারা, বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাকর্মী ও সিএনজি চালিত অটোরিকশার মালিক-শ্রমিক আইন হাতে নিয়ে কোনো কাজ করতে পারবে না। ৪৪৯টি লাইসেন্সপ্রাপ্ত সিএনজি চালিত অটোরিকশা ব্যতিরেকে কোনো সিএনজি সড়কে চলতে পারবে না। কোনো ফিটনেসবিহীন ও রুটপারমিটবিহীন বাস যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে পারবে না। সনদে উল্লেখিত সিটের বাইরে বাসে কোনো যাত্রী নিতে পারবে না। ধর্মঘটের সময়ে আন্দোলনকারীরা যদি কোনো সিএনজি চালিত অটোরিকশা ভাঙচুর করে, সিএনজি মালিক সমিতির নেতারা থানায় মামলা করলে, তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে, বাস মালিক সমিতি ক্ষতিপূরণ করবে।
 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন