ভোলায় সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর

৪ দিন আগে
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে গিয়ে হামলায় সুপ্রিম কোর্টের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোটেক মো. ইব্রাহিম খলিলসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। এ সময় তার ব্যক্তিগত গাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

শনিবার ( ২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলা সদরের পশ্চিম বাজারে কেন্দ্রীয় মন্দিরের সামনে এ হামলা করা হয়। পরে  বিকেলে ভোলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ইব্রাহিম খলিল এ অভিযোগ করেন।


এ ঘটনায় আহত অন্যরা হলেন: মো. জামিল, মো. পার্থিব, মো. রানা, আবির মৃধা, মো. রাকিব ও মো. রাশেদ।


সংবাদ সম্মেলনে ইব্রাহিম খলিল জানান, তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোলা-২ (বোরহানউদ্দিন-দৌলতখান) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী। বিভিন্ন সময়ে তিনি এলাকার মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে থাকেন। সেই ধারাবাহিকতায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে নিজ উদ্যোগে বিভিন্ন মন্দিরে আর্থিক অনুদান দিতে ও সম্পর্ক উন্নয়নে শনিবার সকাল থেকেই বিভিন্ন মন্দিরে যান।


আরও পড়ুন: মানববন্ধনে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলের ওপর হামলা, আহত ১৫


দুপুরের দিকে বোরহানউদ্দিন উপজেলা সদরের কেন্দ্রীয় মন্দিরে যাওয়ার সময় বোরহানউদ্দিন পৌর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি সাইদুর রহমান লিটন ও বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সেক্রেটারি বাচ্চুর নেতৃত্বে উপজেলা ছাত্রদলের ৩০ থেকে ৩৫ জন মিলে তার গাড়িতে হামলা করেন।


তিনি আরও জানান, প্রথমে তারা গাড়িতে ডিম নিক্ষেপ করে তাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন। পরে তিনি বোরহানউদ্দিন থানার ওসিকে ফোন দিলে তিনি ঘটনাস্থলে আসার পর ওসির সামনেই তার গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয় (গাড়ির পিছনের গ্লাস ভাঙচুর) এবং তাকে গাড়ি থেকে টেনে-হিঁচড়ে বাইরে বের করেন হামলাকারীরা। এ সময় তার সঙ্গে গাড়িতে থাকা ছোট ভাই ও ভাগ্নেসহ ৪-৫ জন বাধা দিলে তাদেরও মারধর করা হয়। এ ঘটনায় ইব্রাহিম খলিল ও তার সঙ্গীরা আহত হয়ে ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ঘটনায় তিনি আইনি ব্যবস্থা নেবেন।


আরও পড়ুন: ভাঙ্গায় ইউএনও কার্যালয় ও নির্বাচন অফিসে ভাঙচুর-আগুন


বোরহানউদ্দিন পৌর বিএনপির সহসভাপতি মো. সাইদুর রহমান লিটন জানান, এ ঘটনার সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। বোরহানউদ্দিন থানার সেকেন্ড অফিসার দুপুরে তার কাছে ফোন দিয়ে জানায় পশ্চিম বাজারে কি হয়েছে দেখার জন্য। পরে তিনি বাসা থেকে বের হয়ে দেখেন একটি গাড়ি ডিম মারা অবস্থায় রয়েছে। এরপরই সেখানে পুলিশ চলে আসে। এর বাইরে তিনি কিছুই জানেন না। এখন তাকে উল্টো এ ঘটনায় দায়ী করা হচ্ছে।


বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ছিদ্দিকুর রহমান জানান, খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে গেছেন। তবে পুলিশের সামনে কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি। এ ঘটনায় সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ করা হয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন