ভোলায় গ্যাস পরিবহনের গাড়ি আটকে মশাল মিছিল

২ সপ্তাহ আগে
ভোলা থেকে সিলিন্ডারে করে গ্যাস ঢাকায় নেয়া বন্ধ ও ভোলায় গ্যাসভিক্তিক শিল্পকারখানা স্থাপনসহ পাঁচ দফা দাবিতে ছাত্র- জনতার আন্দোলন দ্বিতীয় দিনের মতো অব্যাহত রয়েছে।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) রাতে দাবির পক্ষে মশাল মিছিল ও সড়কে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আন্দোলকারী ছাত্র-জনতা।

 

পাঁচ দফা দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।

 

এদিকে শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) রাত থেকে শনিবার (১৯ এপ্রিল) রাত ১০ টা পর্যন্ত ভোলা থেকে সিএনজি আকারে ঢাকার কলকারখানায় দেয়ার গ্যাস পরিবহনের দায়িত্বে থাকা ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং কোম্পানির আরও ৮টি গাড়ি আটক রেখেছে আন্দোলকারীরা।

 

এসময় আন্দোলনকারীরা মশাল মিছিল করে তাদের দাবির পক্ষে স্লোগান দিতে শোনা যায়। এছাড়া তারা সড়কে অবস্থা নিলে সাময়িক যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে।

 

আরও পড়ুন: ভোলায় যুবককে তুলে নিয়ে হাত-পা ভেঙে চোখ উপড়ে দিলো প্রতিপক্ষ

 

ভোলার গ্যাস অন্যত্র নেয়া বন্ধ করে ভোলায় গ্যাসভিত্তিক কলকারখানা স্থাপন, ঘরে ঘরে গ্যাস সংযোগ দেয়াসহ পাঁচ দফা দাবিতে ছাত্র- জনতার ব্যানারে আন্দোলন চলছে।

 

শনিবার বিকালে ভোলা সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আরিফুজ্জামান, ভোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু শাহাদৎ মো. হাচনাইন পারভেজ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে যান।

 

ইউএনও আন্দোলনকারীদের তাদের অবরোধ তুলে নিতে অনুরোধ করে দাবির বিষয় ঊধ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করে সমাধানের আশ্বাস দেন।

 

তবে গ্যাস ভোলায় ব্যবহার, ঘরে ঘরে সংযোগ তাদের দাবি না মানা পর্যন্ত ভোলা থেকে গ্যাস নিতে দেয়া হবে না বলে জানান তারা।

 

আরও পড়ুন: ভোলায় হুমকিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বসতবাড়ি ও শহররক্ষা বাঁধ

 

ইন্ট্রাকো কোম্পানির স্থানীয় কর্মকর্তা হাফিজ উদ্দিন জানান, ছাত্র-জনতার দাবির প্রেক্ষিতে সিলিন্ডার পরিবহন করা গাড়ি চলাচল সাময়িক বন্ধ রয়েছে।


উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের মে মাসে ভোলার গ্যাস সিলিন্ডার করে ঢাকার কলকারখানায় সরবরাহের জন্য রাষ্ট্রায়ত্ব সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানীর সাথে চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী প্রাথমিক পর্যায়ে দৈনিক ৫ মিলিয়ন গ্যাস ঢাকার ১৮টি কারখানায় সরবরাহ করছে ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং কোম্পানী।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন