বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল পৌনে ৯টার দিকে উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের দুধকুমড়া এলাকার মরা কালিগঙ্গা নদী থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত গৃহবধূ ওই এলাকার দিনমজুর মহেদ আলীর স্ত্রী ও দুই সন্তানের জননী। পরে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।
তবে এ ঘটনায় নিহতের স্বামী ও ছেলের পাল্টাপাল্টি ও মিশ্র বক্তব্য পাওয়া গেছে। ছেলের দাবি, রাত ১টার দিক থেকে মাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। আর স্বামীর দাবি, ভোরে গোসল করতে গিয়ে ডুবে মারা গেছে নাছিমা। আর নিহত ব্যক্তির চাচার ভাষ্য, বিয়ের পর থেকেই জামাই-মেয়ের সংসারে অশান্তি ছিল। পারিবারিক কলহের জেরেই মেয়েকে হত্যা করে নদীতে ফেলে দিয়েছে জামাই।
আরও পড়ুন: তালাবদ্ধ ঘরে মিলল ব্যবসায়ীর অর্ধগলিত মরদেহ, দেয়ালে লেখা হত্যার কারণ
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মরা কালিগঙ্গা নদী থেকে প্রায় ২০০ মিটার দূরে মহেদ আলী ও নাছিমা খাতুন দম্পতির বসবাস। এক ছেলে ও এক মেয়ে বিবাহিত। বুধবার সারাদিন তারা নদী থেকে কচুরিপানা পরিষ্কার করেছেন। আর বৃহস্পতিবার সকালে মাছ ধরতে গিয়ে জেলেরা নাছিমার ভাসমান মরদেহ দেখে স্বজনদের খবর দেন। পরে পুলিশ এসে স্থানীয়দের সহযোগিতায় মরদেহটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, মরা নদীর কিনারায় ভাসছে গৃহবধূ নাছিমার হওয়া মরদেহটি। পাড়ে উৎসুক জনতার ভিড়। কাজ করছে পুলিশ।
এ সময় এক নারী বলেন, ‘খবর শুনে এসে দেখি নদীত ভেসে আছে মরদেহ। কীভাবে মরেছে তা জানি না। তার ভাষ্য, পানিতে ডুবে মরলে তো এত তাড়াতাড়ি ভাসার কথা নয়।’
অভিযোগ অস্বীকার করে নাছিমার স্বামী মহেদ আলী বলেন, ‘বুধবার দুজন মিলে নদীর কচুরিপানা পরিষ্কার করেছি। রাত ১১টার দিকে ঘুমিয়েছি একসঙ্গে। কিছু না বলে ভোরে নদীতে গোসল করতে গিয়ে আর ফেরেনি। পরে মরা অবস্থায় পাইছি।’
তার ভাষ্য, রাতে কোনো ঝগড়াঝাঁটি বা ঝামেলা হয়নি। গোসলে গিয়ে পানিতে ডুবে মারা গেছে।
আর নাছিমার ছেলে রাজিব হোসেন বলেন, ‘রাত ১টা থেকে মাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। খোঁজাখুঁজিও করা হয়েছিল। পরে সকালে জেলেরা খবর দিলে মরদেহ পেয়েছি।’
আরও পড়ুন: গাজীপুরের জঙ্গলে লাশের গুঞ্জন, পলিথিন খুলতেই যা বের হলো
কুমারখালী থানার ওসি খোন্দকার জিয়াউর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে নদী থেকে এক নারীর ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সন্দেহজনক হওয়ায় সুরতহাল শেষে মরদেহটি মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন আসলে প্রকৃত ঘটনা পরে জানানো যাবে।