দেশের শীর্ষস্থানীয় জাতীয় পত্রিকায় বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) প্রকাশিত কিছু খবর নিচে তুলে ধরা হলো।
পত্রিকাগুলো আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, নির্বাচনে ইসির ভূমিকা, নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা, জোট নিয়ে দলগুলোর ভাবনাসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ ছেপেছে।
ভোটের জোট নিয়ে জট - দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রধান সংবাদ এটি।
এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী মাসের (ডিসেম্বর) প্রথমার্ধে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তফসিল ঘোষণার আর অল্প সময় বাকি থাকলেও ভোটের জোট গঠন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এখনো জট লেগে গেছে। বর্তমানে আসন নিয়ে দলগুলোর মধ্যে চলছে শেষ মুহূর্তের দর-কষাকষি। কিন্তু নিজস্ব মার্কায় নির্বাচনসহ নানা সমীকরণে বড় দলগুলো এখনো জোট বা আসন সমঝোতা চূড়ান্ত করতে পারেনি।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগামী সংসদ নির্বাচনে অন্তত চারটি জোট গঠনের তৎপরতা চলছে। এবার কোনো দলের এককভাবে নির্বাচনে অংশ নেয়ার সম্ভাবনা কম। দেশের বৃহৎ দল বিএনপি তাদের সমমনা দল নিয়ে একটি বড় জোট গঠন করতে পারে। পাশাপাশি কয়েকটি দলের সঙ্গে আসন সমঝোতাও হতে পারে।
অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলনসহ সমমনা ইসলামী দলগুলোর পৃথক জোট হতে পারে। কয়েকটি দল নিয়ে এনসিপিরও যেমন জোট গঠনের সম্ভাবনা রয়েছে, আবার তারা অন্য কোনো জোটের সঙ্গেও যেতে পারে। এনসিপি, বিএনপি ও জামায়াত এই দুই দলের সঙ্গেই আলোচনা অব্যাহত রেখেছে। আবার বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) নেতৃত্বেও বাম ও সমমনা দলগুলোর একটি জোট গঠনের তৎপরতা আছে।
প্রার্থী পুনর্মূল্যায়নের চিন্তা - দৈনিক যুগান্তরের প্রধান সংবাদ এটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ২৩৬ আসনে প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে বিএনপি। অন্যদিকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ না করলেও জামায়াতে ইসলামী মনোনয়নের সবুজ সংকেত দিয়ে প্রার্থীদের মাঠে নামিয়েছে প্রায় এক বছর আগে। তবে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, এলাকায় জনপ্রিয়তা, স্থানীয় বিরোধ, প্রার্থীর ভাবমূর্তিসহ বিভিন্ন কারণে ঘোষিত তালিকার কিছু আসনে প্রার্থিতা পুনর্মূল্যায়নের চিন্তা করা হচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে দুদলের প্রার্থী তালিকায় যোগ হতে পারে কিছু নতুন মুখ।
বিরোধপূর্ণ আসনে মনোনয়নবঞ্চিতদের ডেকে এরমধ্যেই দফায় দফায় কথা বলে বিরোধ নিরসনের চেষ্টা করছে বিএনপির হাইকমান্ড। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গত দুদিনে অন্তত এক ডজনের বেশি নির্বাচনি এলাকার মনোনয়নবঞ্চিত প্রার্থীর সঙ্গে কথা বলেছেন। মনোনয়নবঞ্চিত প্রার্থীদের সঙ্গে ফোনে কথা বলছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও। পাশাপাশি হাইকমান্ড থেকে ঘোষিত প্রার্থীর জনপ্রিয়তা ও ভাবমূর্তিসহ বিভিন্ন বিষয়ে যাচাই করে দেখা হচ্ছে।
অন্যদিকে, জামায়াতের প্রার্থী তালিকায় আনা হচ্ছে বড় ধরনের পরিবর্তন। তালিকায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের তিনজন ভিপি, দুজন জিএসসহ বেশ কয়েকজন জুলাই যোদ্ধার নাম আলোচনায় আছে। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় আরও বড় চমক থাকবে। এছাড়া শরিক সাত দলের প্রার্থীদের কিছু আসনে ছাড় দেয়ার চিন্তা করছে জামায়াত।
আসনের বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত চায় বিএনপির মিত্র দলগুলো - দৈনিক ইত্তেফাকের প্রধান সংবাদ এটি।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, বিএনপি ২৩৭টি সংসদীয় আসনে ৩ নভেম্বর দলীয় সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করলেও যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের আসনগুলো এখনো চূড়ান্ত করেনি। এ ব্যাপারে দ্রুত ফয়সালা চায় মিত্র দল-জোটগুলো। আগামী আট-দশ দিনের মধ্যে আসন ছাড়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে বিএনপির পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে।
মিত্রদের দাবি, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল হলে সেই হিসাবে তাদের হাতে নির্বাচন-প্রস্তুতির সময় কম। তাছাড়া, আসনের বিষয়টি সুরাহা না হওয়ায় তাদের নির্বাচনি আসনগুলোতে বিভ্রান্তি সৃষ্টির পাশাপাশি পরিস্থিতি জটিলতর হয়ে উঠছে। এ কারণে বিষয়টির দ্রুত সুরাহা চান বিএনপির দীর্ঘদিনের আন্দোলন-সংগ্রামের সঙ্গীরা।
আসন সমঝোতার বিষয়ে আলোচনার জন্য বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের সঙ্গে মঙ্গলবার বৈঠক করেছেন দুটি মিত্র জোট ‘১২ দলীয় জোট’ ও ‘জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট’-এর নেতারা।
এক দিনে সংসদ ও গণভোটের কর্মপরিকল্পনা চায় দলগুলো - দৈনিক সমকালের প্রধান সংবাদ এটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একই দিনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা চায় বিএনপি, জামায়াত, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) সংলাপে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দলগুলো। পাশাপাশি একসঙ্গে দুই ভোট আয়োজন ও নির্বাচনী আচরণবিধির প্রয়োগে সাংবিধানিক সংস্থাটির সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে দলগুলো।
আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সংসদ ও গণভোট এক দিনে অনুষ্ঠিত হবে বলে এরই মধ্যে ঘোষণা দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ইসির নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ চলছে।
ইসির শক্ত ভূমিকা চায় দলগুলো - দৈনিক প্রথম আলোর প্রধান সংবাদ এটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দুই পর্বে মোট ১২টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করেছে ইসি। জামায়াতে ইসলামী, বিএনপি, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) ১২টি দল সংলাপে অংশ নেয়। এ সময় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ থেকে শক্ত ভূমিকা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। আবার ইসি কতটা কার্যকর ভূমিকা নিতে পারবে, সেটা নিয়েও কোনো কোনো দলের সংশয় রয়েছে।

সংলাপে অংশ নিয়ে বিএনপি আগামী সংসদ নির্বাচনে ইসির নিজস্ব কর্মকর্তাদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। অন্যদিকে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের লটারির মাধ্যমে বদলির ব্যবস্থা করার প্রস্তাব দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।
এ ছাড়া সংলাপে অংশ নেয়া দলগুলোর পক্ষ থেকে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে অন্তত পাঁচজন করে সেনাসদস্য মোতায়েন, আওয়ামী লীগের পদধারী নেতাদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সুযোগ না দেয়া, নির্বাচনী প্রচারে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপতথ্য ছড়ানো রোধে ব্যবস্থা নেয়া, নির্বাচনী পরিবেশ পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠন করা, নির্বাচনে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিতে ব্যবস্থা নেয়া, নির্বাচনী আইনবিধি সংস্কারে দলগুলোর সঙ্গে আবার আলোচনা করা, ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করার পরামর্শ এসেছে।
অনূর্ধ্ব-৫ বছর বয়সী শিশুদের ৪১ শতাংশই জন্মনিবন্ধনের বাইরে - বণিকবার্তার প্রধান সংবাদ এটি।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, দেশে পাঁচ বছরের কম বয়সী ৪১ শতাংশ শিশুর জন্মনিবন্ধন নেই। এ বয়সী শিশুদের জন্মসনদ আছে ৪৭ শতাংশের। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ও ইউনিসেফের যৌথ জরিপের সর্বশেষ তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, অনূর্ধ্ব-৫ বছর বয়সের শিশুদের জাতীয়ভাবে জন্মনিবন্ধনের হার বর্তমানে ৫৯ শতাংশ, যা ২০১৯ সালে ছিল ৫৬ শতাংশ।
এক্ষেত্রে কিছুটা অগ্রগতি হলেও সংশ্লিষ্টরা বলছেন এ হার এখনো সর্বজনীন নিবন্ধনের লক্ষ্যের অনেক নিচে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনে ২০৩০ সালের মধ্যে শতভাগ জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন নিশ্চিত করার অঙ্গীকার রয়েছে সরকারের।
]]>
১ সপ্তাহে আগে
৫






Bengali (BD) ·
English (US) ·