ভোটে নানা অনিয়ম-কারচুপির ঘটনা দৃশ্যমান: মেঘমল্লার বসু

৩ সপ্তাহ আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে নানা অনিয়ম ও কারচুপির ঘটনা দৃশ্যমান হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রতিরোধ পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী মেঘমল্লার বসু।

মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করে এই মন্তব্য করেন তিনি।

 

মেঘমল্লার বলেন, ‘অসুস্থতার কারণে আমি এই মুহূর্তে ক্যাম্পাসে নাই। তবে প্রতিরোধ পর্ষদের অন্য প্রার্থীরা রয়েছে। আজ ডাকসুর ভোটকে কেন্দ্র করে নানা ধরনের অনিয়ম-কারচুপি ঘটনা সবার দৃষ্টিগোচর হয়েছে।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘অমর একুশে হলে শিবিরের প্রার্থীর ব্যালট পূরণ করে বাক্সে ভর্তি করা হয়েছে। রোকেয়া হলে এস এম ফরহাদ ও সাদিক কায়েমের নাম বসিয়ে তারপর ব্যালট শিক্ষার্থীদের কাছে দেয়া হয়। শহীদুল্লাহ হলে শিবির প্রার্থীর পূরণ করে রাখা লিস্ট ভোটার কেন্দ্রের ভেতরে আগে থেকে রেখ দেয়ার ঘটনা ঘটেছে।  এর বাইরে ভুয়া ভোটারের কয়েকটি ঘটনাও দেখতে পেয়েছি আমরা।’

 

প্রতিরোধ পর্ষদের প্রার্থীসহ অনেককে বিভিন্ন রকম বাধার মধ্য দিয়ে তাদের ন্যায্য প্রচারণা করতে দেয়া হয়নি বলেও অভিযোগ তোলেন এই জিএস প্রার্থী। তিনি বলেন, ‘সেদিক থেকে নির্বাচনে নানা অনিয়ম ও কারচুপির ঘটনা দৃশ্যমান।’

 

ভোট দেয়া শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ জানিয়ে মেঘমল্লার বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত হাইটার্ন আউটের নির্বাচন দেখতে পেয়েছি। এতোমানুষের যে ভোটকাস্ট হয়েছে, সেটা নিঃসন্দেহে প্রচণ্ড রকমের আশাব্যঞ্জক। ভোটের ফলাফল যাই হোক এই ব্যাপারটিকে একটা বিজয় হিসেবে দেখতে চাই।’

 

আরও পড়ুন: নির্বাচন বানচালের চেষ্টা রুখে দেয়ার আহ্বান সাদিক কায়েমের

 

ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে একধরনের ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘গণনার সময় একাধিক কেন্দ্রে সাদিক কায়েম এবং শিবিরের অন্য প্রার্থীরা উপস্থিত হয়েছে। একাধিক কেন্দ্রে এলইডি লাইট লাইট নষ্ট হয়ে গেছে। ফলাফল কেন্দ্রে নিয়মকানুন মানা হচ্ছে না। ভোটের গণনা নিয়েও নানা রকম ডিসইনফরমেশন ও গুজব রয়েছে।’  

 

ভোটের ফলাফল নিয়ে কোনো ধরনের অনিয়ম বা ব্যত্যয় ঘটানো হলে, তা শিক্ষার্থী সমাজ মেনে নেবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন মেঘমল্লার। তিনি বলেন, ‘সেইসঙ্গে যেই মুহূর্তে মনোযোগটা ভোট গণনায় দেয়া উচিত ছিল, সেসময় অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করছেন তাদেরও শিক্ষার্থীরা খুব ইতিবাচক হিসেবে নিচ্ছেন বলে মনে হচ্ছে না।’

 

প্রতিরোধ পর্ষদের জিএস প্রার্থী বলেন, ‘হার-জিত যাই হোক না কেন, প্রার্থীরা কতগুলো ভোট পেয়েছি তা জানার অধিকার রয়েছে। হাজার হাজার শিক্ষার্থী পরিশ্রম করে ভোট দিতে এলেন, তাদের ভোটটি যাতে গণনা হয় তা নিশ্চিত করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব। কাজেই সব ধরনের মত-দ্বিমতের ঊর্ধ্বে উঠে ভোট গণনা যাতে সুষ্ঠু হয় সেটি নিশ্চিত করার কাজে থাকুন। তা যদি নিশ্চিত না হয় কিংবা গণ্ডগোল সৃষ্টির পাঁয়তারা হলে রুখে দেয়ার জায়গায় থাকুন।’

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন