সরেজমিনে দেখা যায়, গাছ কেটে ও মাটি ফেলে ভাঙন ঠেকাতে মরিয়া এখন শ্যামনগরবাসী। পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ ও জিও টিউব দিয়ে রিং বাঁধের কাজের প্রস্তুতি নিয়েছে।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরের দিকে শুরু হওয়া বেড়িবাঁধ ভাঙন রোববার (২৮ এপ্রিল) বিকেল পর্যন্ত ভীতিকর অবস্থায় পৌঁছেছে। এর আগে শুক্রবার রাতে আকস্মিকভাবে চুনকুড়ি নদীর জোয়ারের পানির তোড়ে হরিনগর ও সিংহড়তলী এলাকায় চর ধ্বসে ভয়াবহ আকার ধারণ করে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বারবার তাগিদ দিয়েও কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় ভাঙন এতটা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় নদীর তীরে জলবায়ু ধর্মঘট, ‘ভবিষ্যৎ বিক্রয়’ না করার আহ্বান
স্থানীয় চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম জানালেন, মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের বেরিবাঁধের ৬টি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে সিংহড়তলী এলাকায় ভাঙন ভয়াবহ আকার ধারন করেছে। প্রতিরোধ কাজ চলছে সমন্বিত ভাবে। এই ভাঙন প্রতিরোধ করা না গেলে কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
যদিও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সালাউদ্দিন জিও ব্যাগ ও জিও টিউব দিয়ে চলমান রিং বাঁধ দিয়ে বড়ধরনের ক্ষতি ঠেকানো গেছে বলে দাবি করেছেন।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় মৎস্য ঘের পাহারাদারের মরদেহ উদ্ধার
সুন্দরবনের বিপরীত পাড়ের সিংহড়তলী, চুনকুড়ি, হরিনগর, যতীন্দ্রনগর, ছোট ভেটখালীসহ মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নসহ পাশ্ববর্তী কয়েকটি ইউনিয়নে কোটি কোটি টাকার চিংড়ি ঘের ও পল্ট্রি খামার রয়েছে।
]]>