ভেনেজুয়েলায় সম্ভাব্য মার্কিন হামলার প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন: প্রতিবেদন

১৭ ঘন্টা আগে
ভেনেজুয়েলায় যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য হামলার সব প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন বলে জানিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যম এনপিআর। এরইমধ্যে ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে পাঁচ দিনব্যাপী নৌ মহড়ার ঘোষণা দিয়েছে পেন্টাগন। এছাড়া স্থানীয় সময় রোববার (১৬ নভেম্বর) বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমানবাহী জাহাজ ইউএসএস জেরাল্ড আর. ফোর্ড পৌঁছাবে উত্তর ক্যারিবীয় সাগরে।

দিন দিন বাড়ছে ভেনেজুয়েলা-যুক্তরাষ্ট্রের বৈরিতা। উত্তর ক্যারিবীয় সাগর তীরবর্তী দেশটিতে এখনো সরাসরি হামলার ঘোষণা দেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে হামলার সব প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যম এনপিআর। 

 

ভেনেজুয়েলার কাছাকাছি ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর উপকূলে পাঁচ দিনব্যাপী নৌ মহড়া চালাবে যুক্তরাষ্ট্র। উত্তর ক্যারিবীয় সাগরে রোববার পৌঁছাবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমানবাহী জাহাজ ইউএসএস জেরাল্ড আর. ফোর্ড। এতে যুক্ত হবে ১৫ হাজার মার্কিন সেনা এবং ২ হাজার মেরিন। সম্প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, ভেনেজুয়েলা ইস্যুতে তিনি ‘মনে মনে সিদ্ধান্ত’ নিয়েছেন। তবে বিষয়টি স্পষ্ট করেননি।

 

এদিকে, ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে মার্কিন সামরিক মহড়া নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো। কারাকাসের পেতারে সমর্থকদের সামনে বক্তৃতায় তিনি অভিযোগ করেন, ওয়াশিংটন যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে। বলেন, দ্বীপ রাষ্ট্রটির মানুষই ঠিক করবে তারা তাদের জমি–জলকে মার্কিন সামরিক পরিকল্পনার জন্য উন্মুক্ত রাখবে কি না। 

 

আরও পড়ুন: ভেনেজুয়েলা ঘিরে ‘অপারেশন সাউদার্ন স্পিয়ার’ ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

 

যুক্তরাষ্ট্রের সমর দফতর দাবি করেছে, এসব পদক্ষেপ মূলত মাদকবাহী নৌকা আটকানোর জন্যই নেয়া হচ্ছে। ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারাও ইঙ্গিত দিয়েছেন যে ভেনেজুয়েলাকে লক্ষ্য করে সম্ভবত স্থল হামলার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।

 

সিএনএন-এর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভেনেজুয়েলায় বড় ধরনের অভিযানের জন্য প্রয়োজনীয় সামরিক সক্ষমতা এখনো মাঠে নেই। ভূখণ্ডে আঘাত হানলে মাদুরো বাহিনীর প্রতিরোধ আর মার্কিন অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক চাপ সব মিলিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হতে পারেন। 

 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাদুরো অপসারিত হলেও ক্ষমতা বিরোধীদের হাতে যাওয়ার কোনো নিশ্চয়তা নেই। তাদের মতে, মাদুরোকে সরানোই শেষ লক্ষ্য নয় বরং শুরু। স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে যুক্তরাষ্ট্রকে ৫–১০ বছরের পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামতে হবে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন