গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ভেনেজুয়েলার সন্দেহজনক মাদকবাহী নৌযানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের এটি দ্বিতীয় হামলা।
ট্রাম্প জানান, মাদকবাহী নৌযানটিতে হামলায় তিনজন নিহত হয়েছেন। ঘটনাটি আন্তর্জাতিক জলসীমায় ঘটেছে। তবে নৌযানটিতে মাদক ছিল—এমন কোনো প্রমাণ তিনি উপস্থাপন করেননি।
আরও পড়ুন:ভেনিজুয়েলার কাছে মাদকবাহী নৌকায় মার্কিন হামলায় নিহত ১১
কর্মকর্তারা বলছেন, মাদকবিরোধী অভিযানের জন্য দক্ষিণ ক্যারিবীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করার পর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়, এর আগে একটি হামলা চালানো হয় এবং তাতে ১১ জন নিহত হয়।
সোমবার নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘আজ সকালে আমার আদেশে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী দক্ষিণ সামরিক কমান্ডের (সাউথকম) আওতাধীন এলাকায় হিংস্র মাদক পাচারকারী চক্রের সদস্য ও মাদক সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে দ্বিতীয়বারের মতো হামলা চালিয়েছে।’
তিনি আরও লিখেন, ‘এই মাদক পাচারকারী চক্রগুলো যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা, বৈদেশিক নীতি এবং দেশের স্বার্থের জন্য হুমকি।’
যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকা এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলের ৩১টি দেশে সাউথকমের মাধ্যমে কার্যক্রম চালায়।
নিজের পোস্টের সঙ্গে প্রায় ৩০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও যুক্ত করেছেন ট্রাম্প। ভিডিওটির ওপরের দিকে ‘অগোপনীয়’ (আনক্ল্যাসিফাইড) লেখা দেখা যাচ্ছিল। ভিডিওতে পানিতে থাকা একটি নৌযান বিস্ফোরিত হয়ে আগুন ধরে যাওয়ার দৃশ্য দেখা যায়।
রয়টার্স একটি এআই সনাক্তকরণ সরঞ্জাম দিয়ে ভিডিওটি প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা করে, কিন্তু ভিডিওটি আংশিকভাবে ঝাপসা ছিল, যার ফলে কোনো পরিবর্তন করা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করা অসম্ভব হয়ে পড়ে।
পরবর্তীতে ওভাল অফিসে বক্তব্য দিতে গিয়ে ট্রাম্প বলেন, নৌকাগুলো মাদক-সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বলে প্রমাণ যুক্তরাষ্ট্র রেকর্ড করেছে।
এদিকে, সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ভেনেজুয়েলা থেকে মাদক বহনকারী একটি নৌকায় প্রথম হামলার পক্ষে যুক্তি দেখিয়েছিলেন, যেখানে ১১ জন নিহত হন। তিনি বলেন, ওয়াশিংটনের শতভাগ বিশ্বস্ততা এবং নিশ্চিততা রয়েছে যে জাহাজটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাচারের সাথে জড়িত ছিল।
আরও পড়ুন:ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট বলসোনারোর ২৭ বছর কারাদণ্ড দিলেন আদালত
অন্যদিকে, ট্রাম্পের ভেনেজুয়েলার প্রতিপক্ষ নিকোলাস মাদুরো বলেছেন, কারাকাস মার্কিন আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নিজেকে রক্ষা করবে। আমেরিকার শীর্ষ কূটনীতিক মার্কো রুবিওকে মৃত্যু ও যুদ্ধের প্রভু বলে অভিহিত করেছেন তিনি।
]]>