ভেঙে ফেলা হবে ইতালির ঐতিহাসিক সান সিরো স্টেডিয়াম

১৮ ঘন্টা আগে
ভেঙে ফেলা হবে ইতালির ঐতিহাসিক স্টেডিয়াম সান সিরো। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা বৈঠকের পর এমন সিদ্ধান্ত নেয় মিলানের সিটি কাউন্সিল। ১৯৭ মিলিয়ন ইউরোতে এসি মিলান ও ইন্টার মিলানের কাছে বিক্রি করা হবে স্টেডিয়াম ও তার আসেপাশের জমি। যদিও নতুন স্টেডিয়াম তৈরি হওয়ার আগ পর্যন্ত এই স্টেডিয়াম ভাঙা হবে না এবং এখানেই খেলা আয়োজন করা হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

১৯২৬ সালে যাত্রা শুরু, ১৯৯০ সালের বিশ্বকাপের জন্য পেয়েছিলো নতুন রুপ। তবে, ২০২৫ সালে এসে বিদায়ের সংকেত। ভেঙে ফেলা হবে ইতালির ঐতিহাসিক স্টেডিয়াম সান সিরো।


ফিফা বিশ্বকাপ, উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ন্যাশন্স লিগ। এসি মিলান কিংবা ইন্টার মিলানের বহু ঐতিহাসিক মুহূর্ত জরিয়ে আছে এই স্টেডিয়ামে, শুধু ফুটবলই নয় কনসার্টসহ নানা আয়োজন হতো এখানে। ভক্তদেরও অনেক আবেগ এই স্টেডিয়াম ঘিরে। স্থানীও রাজনীতিবিদরাও ভাঙার ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েছিলো। তাদের কাছে এই স্টেডিয়াম ইতালির ফুটবলের স্বর্গ। তাই ২০১৯ সাল থেকে চেষ্টা করেও এটা ভাঙার বিষয় কোনো আলোচনায় এগুতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। এবারও এমন কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বেশ বেগ পোহাতে হয়েছে সংশ্লিষ্টদের।


আরও পড়ুন: মেজাজ হারিয়ে নিষিদ্ধ হলেন সিমিওনে 


এসি মিলান ও ইন্টার মিলান দুই ক্লাবই ভাগাভাগি করে ব্যবহার করে আসছে এই স্টেডিয়াম। তবে, একাধিকবার সংস্কার হলেও এখানে নেই অনান্য আধুনিক স্টেডিয়ামের মতো সুযোগ-সুবিধা। এছাড়া স্টেডিয়াম থেকে ইউরোপের অন্যান্য ক্লাবের চেয়ে আয়ের পরিমানও অনেক কম। যার কারণে এই স্টেডিয়াম ভাঙার দাবি জানায় ইতালির দুই জায়ান্ট ক্লাব। তারা চায় এখানে শুধু মাঠ নয় বরং বাণিজ্যিক ও আবাসিক কমপ্লেক্স গড়ে তুলতে।


এদিন দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা বৈঠকের পর সান সিরো ভেঙে ফেলার কঠিন সিদ্ধান্ত নেয় সংশ্লিষ্টরা। মিলানের সিটি কাউন্সিল ১৯৭ মিলিয়ন ইউরোতে এসি মিলান ও ইন্টার মিলানের কাছে বিক্রি করবে স্টেডিয়াম ও তার আশেপাশের জমি। তারাই এবার সান সিরোর পাশে করবে ৭১ হাজার ৫০০ আসনের আধুনিক স্টেডিয়াম। নকশাও তৈরি করেছে। মূলত, ২০৩২ সালের ইউরিোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপ নতুন স্টেডিয়ামে আয়োজন করতে চায় কর্তৃপক্ষরা।


তবে, এখনই ভাঙা হবে না সান সিরো স্টেডিয়ামে। আগামী শীতকালিন অলিম্পিকের উদ্বোধন হবে এখানে। এছাড়া নতুন স্টেডিয়াম হওয়ার আগ পর্যন্ত সব ধরণের খেলাও অনুষ্ঠিত হবে এই মাঠে। এরপর নতুন স্টেডিয়াম হওয়ার পর সান সিরোর ভাঙা হলেও কিছু ঐতিহ্য হিসেবে রেখে দেয়া হবে। 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন