ভূমিকম্পের কেন্দ্র নরসিংদীতে কেন?

২ দিন আগে
পাঁচ দশমিক সাত মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপলো রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল। শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকালে ১০টা ৩৮ মিনিটে হঠাৎ কেঁপে ওঠে উৎপত্তিস্থল নরসিংদীর মাধবীসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলা।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৭ মাত্রার এই ভূমিকম্প গত কয়েক দশকে দেশের ভেতরে উৎপত্তি হওয়া সবচেয়ে শক্তিশালী ছিল। এর আগে সিলেট ও নোয়াখালী অঞ্চলে ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়েছে। তবে এবারের ভূমিকম্পের কেন্দ্র ঢাকার কাছে নরসিংদীতে। এর আগে ঢাকার এত কাছে এই মাত্রার ভূমিকম্প উৎপত্তি হওয়ার ঘটনা ঘটেনি।

 

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পূরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও ভূমিকম্প গবেষক মেহেদি আহমেদ আনসারী বিবিসিকে বলেছেন, ‘বাংলাদেশের মধ্যে টেকটোনিক প্লেটের ৫টি সোর্স আছে। এর মধ্যে নোয়াখালী থেকে শুরু করে কক্সবাজার, নোয়াখালী থেকে সিলেট এবং আরেকটি সিলেট থেকে ভারতের দিকে চলে গেছে।

 

আরও পড়ুন: ভূমিকম্পে আহতদের বেশিরভাগেরই ‘প্যানিক অ্যাটাক’ হয়েছে: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

 

এ ভূমিকম্প গবেষক বলেন, নোয়াখালী থেকে সিলেট অংশে যে বড় ফাটল রয়েছে, এরই একটি ছোট অংশ নরসিংদীতে পড়েছে। এর ফলে নরসিংদী এলাকায় ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল হওয়া অস্বাভাবিক নয়।

 

এদিকে, ভূতত্ববিদরা বলছেন, ৩টি সক্রিয় ফল্ট লাইনের ওপর অবস্থান করছে বাংলাদেশ। হিসাব বলছে, এই অঞ্চলে যেকোনো সময় হতে পারে বড় মাত্রার ভূমিকম্প। আজকের ৫ দশমিক ৭ মাত্রার কম্পনও তাই বড় বিপদের আগাম ইঙ্গিত হতে পারে। নরসিংদী ভূতাত্ত্বিকভাবে বার্মা প্লেট ও ইন্ডিয়া প্লেটের সংযোগস্থলের মাঝামাঝি অবস্থান করায় সেখানে সহজেই ভূকম্পন সৃষ্টি হতে পারে। 

 

আরও পড়ুন: ভূমিকম্পে শাহজালাল বিমানবন্দরের ড্রাইভওয়ের কিছু অংশের সিলিং প্যানেল খসে পড়ল

 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাবডাকশন জোনে এরইমধ্যে ৮ দশমিক ২ থেকে ৯ দশমিক ২ মাত্রার শক্তি জমা আছে, যা যেকোনো সময় মুক্তি পেলে ঘটতে পারে বড় ধরনের কম্পন।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন