শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থান। এরপর বিভিন্ন স্থান থেকে হতাহতের খবর আসতে থাকে। কোথাও কোথাও হেলে পড়েছে ভবন।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে বাড়তে থাকে আহতদের ভিড়, আহাজারি আর দীর্ঘ লাইন। জীবন বাঁচানোর চেষ্টায় চিকিৎসক-নার্সদের দৌড়ঝাঁপে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ যেন হয়ে ওঠে যুদ্ধক্ষেত্র।
সরেজমিনে দেখা যায়, কারও হাতে ব্যান্ডেজ, কারও আবার পায়ে। কেউ ব্যথায় কাতরাতে কাতরাতে পৌঁছেছেন রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে। ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কে ছুটাছুটি, ভয় পেয়ে লাফ দেয়া বা পদদলিত হয়ে আহত প্রতিটি মুখেই যেন একই গল্প, একই অভিজ্ঞতা।
আরও পড়ুন: ভূমিকম্পের কেন্দ্র নরসিংদীতে কেন?
পাঁচ দশমিক সাত মাত্রার ভূমিকম্প যতটা না ঝাঁকুনি দিয়ে ধ্বংস করেছে, তার চেয়ে মানুষের মধ্যে সৃষ্টি করেছে আতঙ্ক। ফলে জীবন বাঁচাতে নিরাপদ স্থানে ছুটতে গিয়েই আহত হয়েছেন বেশি রভাগ।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আসতে থাকে রাজধানীর বাইরের রোগীও। শুক্রবার রাত ১০টা পর্যন্ত পঙ্গুতেই চিকিৎসা নিয়েছেন ১২০ জন, ভর্তি ১৯ জন।
আরও পড়ুন: ভূমিকম্পে আহতদের বেশিরভাগেরই ‘প্যানিক অ্যাটাক’ হয়েছে: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
শুধু পঙ্গু হাসপাতাল নয়, এমন চিত্র দেশের বিভিন্ন হাসপাতালেরও। ভূমিকম্প শুধু মানুষের মধ্যে আতঙ্কই সৃষ্টি করেনি, পরিস্থিতি মোকাবিলায় হাসপাতালগুলোর জন্যও দিয়েছে সতর্কবার্তা।
]]>
২ দিন আগে
২






Bengali (BD) ·
English (US) ·