জেলা নির্বাচন অফিস জানায়, সোমবার দুপুরে শেরপুর জেলা নির্বাচনী কার্যালয়ে আলম মিয়া নামে এক যুবক নিজেকে উপজেলার কসবা শিবোত্তর মহল্লার মো. আলীর ছেলে পরিচয় দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র করতে আসে। এসময় আলম এর ভাষা এবং আচরণে কর্মরত কর্মকর্তাদের সন্দেহ হয়। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তার আসল পরিচয় বেরিয়ে আসে।
জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তিনি জানায়, তার প্রকৃত নাম মো. আমিন (৩০)। তিনি কক্সবাজারের উখিয়ার টাংহালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা এবং মিয়ানমারের নাগরিক। তার বাবার নাম জাহিদ হোসেন এবং মায়ের নাম গুলবাহার।
আরও পড়ুন: শেরপুরে পরিত্যক্ত দরবার থেকে নারীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার
আটক রোহিঙ্গা যুবক মো. আমিন বলেন, আমি কক্সবাজারের উখিয়ার টাংহালি ক্যাম্পে থাকি। এ দেশের নাগরিক হওয়ার আশায় ভোটার আইডি কার্ড করতে শেরপুরে এসেছিলাম। কাজের জন্য পরিচয়পত্র পেলে সুবিধা হবে ভেবেই আলম নামে আবেদন করেছি।
শেরপুরের অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, সন্দেহজনক কাগজপত্র এবং তার ভাষা শুনে আমাদের সন্দেহ হলে আমরা তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করি। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তিনি রোহিঙ্গা পরিচয় স্বীকার করেন। তাকে শেরপুর সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শেরপুরে স্থলবন্দর পরিদর্শনে ভারতের সহকারী হাই কমিশনার
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুবাইদুল আলম বলেন, আমিন নামে ওই রোহিঙ্গা যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার সাথে আরও কেউ জড়িত আছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
]]>