বড়াইগ্রাম সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শোভন চন্দ্র হোড় জানান, বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিকেলে আবির ও হযরত দুই বন্ধু ঘুরতে বের হয়ে। উপজেলার মহিষভাঙ্গা এলাকায় আবিরের মোবাইলে ফ্রি-ফায়ার গেম খেলা নিয়ে বিরোধে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। এক পর্যায়ে হযরত ইট দিয়ে আবিরের মাথায় আঘাত করলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে ইট দিয়ে আবিরের মুখমন্ডল থেঁতলে তাকে হত্যার পর তার মোবাইলটি নিয়ে পালিয়ে যায় হযরত। পুলিশ মোবাইল ফোনটিও উদ্ধার করেছে।
আটক হযরত মহিষভাঙ্গা এলাকার রিয়াজুল ইসলামের ছেলে ও স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যায়ের ছাত্র।
আরও পড়ুন: নাটোরে আমপাড়ার দ্বন্দ্বে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষ, গুলিবর্ষণ
স্বজনরা জানান, বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া পৌরসভার মহিষভাঙ্গা মহল্লার মিলন হোসেনের ছেলে আবির বৃহস্পতিবার বিকেলে সাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হয় ।এরপর আর ফিরে আসেনি সে। রাত ৯ টার দিকে এলাকাবাসী বড়াইগ্রামের বনপাড়া -হাটিকুমরুল মহাসড়কের মহিষভাঙ্গা এলাকায় সড়কের পাশে সাইকেলটি রক্ত মাখা অবস্থায় দেখতে পায়। পরে এলাকাবাসী খোঁজ করতে শুরু করে।
পরে সেখানে নির্মাণাধীন একটি ভবনের পাশে ভুট্টা ক্ষেতে তার ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ দেখে পুলিশকে খবর দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: দুই দফায় সময় বাড়লেও নাটোর পৌরসভায় বসেনি একটি সড়ক বাতিও
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শোভন চন্দ্র হোড় বলেন, এই ঘটনায় নিহতের বাবা বড়াইগ্রাম থানায় মামলা করেছেন। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
]]>