প্রতিবেদন মতে, সকল হজযাত্রীর স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা ও পরিকল্পিত হজবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করার জন্য চলমান নিরাপত্তা অভিযানের অংশ হিসেবে মক্কায় অভিযান চালিয়ে এসব গ্রেফতার করা হয়েছে।
সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা স্থানীয় বাসিন্দা ও দর্শনার্থীদের জন্য জারি করা স্পষ্ট নির্দেশনা অমান্য করে যথাযথ হজ্জ পারমিট ছাড়াই পবিত্র নগরীতে প্রবেশ করেছে বলে প্রমাণিত হয়েছে।
আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে এবং আইন লঙ্ঘন করে পরিবহন, আশ্রয় বা অন্যান্য ধরণের সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে মক্কায় তাদের উপস্থিতি সহজতরকারী ব্যক্তিদের শনাক্ত ও গ্রেফতার অভিযানও শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।
সেই সঙ্গে মন্ত্রণালয় আবারও বলেছে যে, অবৈধ হজযাত্রীদের সহায়তা করার জন্য দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের কঠোর শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে, যার মধ্যে রয়েছে কারাদণ্ড, জরিমানা, নির্বাসন ও অপরাধে ব্যবহৃত যেকোনো যানবাহন বা সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা।
আরও পড়ুন: হজের ভিসা আবেদনের সময় বেঁধে দিলো সৌদি
হজের মৌসুমকে সামনে রেখে এরই মধ্যে নিয়ম লঙ্ঘন করে হজ পালনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়ে মোটা অঙ্কের জরিমানা ঘোষণা করেছে সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়।
সোমবার (৫ মে) প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে আল আরাবিয়া জানায়, সৌদির মন্ত্রণালয় অনুমতিপত্র ছাড়া হজ পালনের চেষ্টা করলে সর্বোচ্চ এক লাখ সৌদি রিয়াল (প্রায় ২৬ হাজার মার্কিন ডলার) জরিমানা এবং দেশটিতে প্রবেশে ১০ বছরের নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবে বলে জানিয়েছে।
নির্ধারিত অনুমতি ছাড়া কেউ হজ্বে অংশ নিতে পারবে না। অনুমতি ছাড়া হজ পালনকারী, ভিজিট ভিসাধারী অথবা তাদের সাহায্যকারী যে কেউই এই কঠোর শাস্তির আওতায় পড়বেন বলে স্পষ্টভাবে জানিয়েছে সৌদি সরকার। অনুমতিপত্র ছাড়া হজ করার চেষ্টা করলে ২০ হাজার সৌদি রিয়াল (প্রায় ৫ হাজার ৩৩২ মার্কিন ডলার) জরিমানা করা হবে।
অন্যদিকে কেউ যদি ভিজিট ভিসার জন্য আবেদন করে হজ পালনে সহায়তা করেন, তাকে সর্বোচ্চ এক লাখ রিয়াল জরিমানা গুনতে হবে। মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হজ মৌসুমে ভিজিট ভিসাধারীদের মক্কা বা পবিত্র স্থানসমূহে বহন করা, আবাসনের ব্যবস্থা করা, তাদের লুকিয়ে রাখা বা যেকোনো ধরনের সহায়তা প্রদান করলেও একই ধরনের শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।
আরও পড়ুন: সৌদি পৌঁছেছেন প্রায় ২৮ হাজার ৫৯৫ হজযাত্রী, মৃত্যু ২
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, প্রত্যেকটি লঙ্ঘনের জন্য শাস্তির পরিমাণ বাড়তে থাকবে। যারা সৌদি আরবে অবস্থানকারী বা সময়োত্তীর্ণ অবস্থায় অবৈধভাবে হজ পালনের চেষ্টা করবেন, তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে এবং আগামী ১০ বছর সৌদি আরবে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
ইসলাম ধর্মের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ হজ, যা প্রত্যেক সক্ষম মুসলমানের জীবনে একবার পালন করা ফরজ। চলতি বছর হজ শুরু হবে আগামী ৬ জুন (শুক্রবার) সন্ধ্যায় এবং শেষ হবে ১১ জুন (বুধবার)। হজের পরপরই ঈদুল আজহা শুরু হবে ৮ জুন (রোববার) যা চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করছে।