‘ভালো বোঝাপড়া হয়েছে’, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার পর ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

২ সপ্তাহ আগে
পারমাণবিক ইস্যুতে দ্বিতীয় দফায় বৈঠক করেছে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা। শনিবার (১৯ এপ্রিল) রোমে দ্বিতীয় দফার এ পরোক্ষ বৈঠকে কিছু অগ্রগতির বার্তা মিলেছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের মধ্যে ইতালির রোমে চার ঘণ্টা ধরে এই বৈঠক চলে।

 

বৈঠকে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল আলাদা কক্ষে অবস্থান করেন আর মাঝে দূত হিসেবে কাজ করছেন ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

 

দ্বিতীয় দফার বৈঠকে ‘গঠনমূলক’ পরিবেশ ছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘেই জানিয়েছেন, বৈঠকে আগামী কয়েক দিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান পরোক্ষ আলোচনার ধারাবাহিকতা বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

 

আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রকে তিন ধাপে পরমাণু চুক্তির প্রস্তাব ইরানের

 

এবারের আলোচনাও গঠনমূলক ছিল বলে জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি। দুইপক্ষই যে আলোচনা এগিয়ে নিতে রাজি, তা নিশ্চিত করেছে ওমানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও।

 

এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র–ইরান আলোচনা গতি পাচ্ছে এবং যেটা হওয়ার কথা নয়, সেটাও এখন সম্ভব।

 

বৈঠক যে ভালো হয়েছে, তার ইঙ্গিত দিয়েছেন আব্বাস আরাঘচিও। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে তিনি বলেন, বৈঠক থেকে অগ্রগতি পাওয়া গেছে। এবারের বৈঠকে বিভিন্ন নীতি ও লক্ষ্যের বিষয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আরও ভালো বোঝাপড়া হয়েছে।

 

দ্বিতীয় দফার এ বৈঠকের পর তৃতীয় ধাপে আবারো ওমানের রাজধানী মাস্কাটে বৈঠকে বসতে একমত হয়েছে ওয়াশিংটন ও তেহরান। তার আগে চলবে কারিগরি আলোচনার আরও কিছু পর্ব।

 

আরও পড়ুন: ইরানের পরমাণু স্থাপনায় একাই হামলা চালাতে চায় ইসরাইল

 

তবে আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানায়, ইরান বেসামরিক পারমাণবিক কর্মসূচি চালিয়ে যেতে পারবে কি না, নাকি ওয়াশিংটন যেমন চায়, পুরো কর্মসূচিই সম্পূর্ণভাবে গুটিয়ে ফেলতে হবে দ্বন্দ্বের এ মূল বিষয় এখনো আলোচনা করা হয়নি। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, তবে কূটনৈতিক গতি বাড়ালেও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি বিশ্বাস বাড়েনি ইরানের।

 

২০১৮ সালে ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে ইরান এবং ছয় শক্তিধর দেশের মধ্যে হওয়া ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি বাতিল করে তেহরানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর আবারও ইরানের ওপর ‘সর্বোচ্চ চাপ’ কৌশল চালু করেছেন তিনি।
 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন