শনিবার (২৬ এপ্রিল ) সন্ধ্যায় ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদের বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
ফেরত আসা যুবকরা হলেন: যশোরের শার্শা উপজেলার যাদবপুর গ্রামের ছুরোত আলীর ছেলে রবিউল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার নবীনগর এলাকার আব্দুল রাজার ছেলে ফয়সাল, বরিশালের কলাবাড়িয়া গ্রামের মনিন্দ্রনাথ মজুমদারের ছেলে মিন্টু বড়ই, মাদারীপুরের সদর উপজেলার রাজর গ্রামের খালেক মাতবরের ছেলে আয়নাল মাতবর, শরিয়তপুরের কানার বাজার উপজেলার ডাকসিন বিলাসখান গ্রামের আলম খলিফার ছেলে রিপন খলিফা, নড়াইলের কালিয়া উপজেলার শুকতা গ্রামের রেজাউল শেখের ছেলে শহিদুল শেখ ও যশোর জেলার শার্শা উপজেলার চালতেবাড়িয়া গ্রামের আলমগীর কবিরের ছেলে আলামিন হোসেন।
আরও পড়ুন: ভারতে পাচার হওয়া ১৫ নারী-শিশু ট্রাভেল পারমিটে ফেরত
এ বিষয়ে বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ জানান, ভারতে পাচার হাওয়া বাংলাদেশি যুবকদের ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেনাপোল পোর্টথানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখান থেকে তাদের আইনি সহায়তা দিতে জাস্টিন এন্ড কেয়ার নামে একটি এনজিও সংস্থা গ্রহণ করবে।
মানবাধিকার সংস্থা জাস্টিন এন্ড কেয়ারের সিনিয়র প্রোগ্রামার অফিসার আব্দুল মুহিত হোসেন জানান, ভালো কাজের প্রলোভনে পড়ে তারা দালালদের মাধ্যমে বিভিন্ন সীমান্ত পথে ভারতে যান। সেখানে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতীয় পুলিশের হাতে আটক হন। পরে পুলিশ আদালতে সোপর্দ করলে ভারতীয় মানবাধিকার সংস্থা দমদম জেল থেকে তাদের ছাড়িয়ে সেল্টার হোমে রাখে। পরে দুই দেশের দেয়া বিশেষ ট্রাভেল পারমিটে তারা দেশে ফেরার সুযোগ পান।