ভারপ্রাপ্ত থেকে নিজেকে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ দেন সামছ উদ্দিন!

৩ সপ্তাহ আগে
কিশোরগঞ্জে হাইস্কুলের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে সহকারী প্রধান শিক্ষক ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দুই পদে নিয়োগ দেখিয়ে বিদ্যালয়ের তহবিল থেকে ৩০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় চলছে। অবিলম্বে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া ও বিদ্যালয়ের টাকা ফেরত নেয়ার দাবি এলাকাবাসীর। এ ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে।

জানা গেছে, প্রধান শিক্ষকের অবর্তমানে প্রবীণ শিক্ষকদের ডিঙিয়ে এক লাফে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হয়ে যান একজন জুনিয়র শিক্ষক। আর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের পদে থেকেই নিজেকে নিয়োগ দেন সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে। 


শুধু তাই  নয়, কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও বর্তমান সহকারী প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ সামছ উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক থাকার সময় ২০১২ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ৬ বছর একই সময়ে এ দুটি পদের বিপরীতে বেতন-ভাতা নিয়েছেন। এতে প্রায় ৩০ লাখ টাকা অতিরিক্ত নেয়ার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। এতে ক্ষুব্ধ অভিভাবক ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্যরা।
 

আরও পড়ুন: সাজ-সাজ রব আর আমেজে কিশোরগঞ্জ, কাল বিএনপির সম্মেলন

এ ঘটনায় গত ২৫ জুন মো. আ. রহিম নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে করিমগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছে জেলা শিক্ষা অফিস। প্রাথমিকভাবে দুই পদে বেতন নেয়ার সত্যতা পাওয়া গেছে বলে জানালেন, বিদ্যালয়টির বর্তমান প্রধান শিক্ষক মো. নজরুল ইসলাম।
 

তবে অর্থ অত্মসাতের অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার না করে অভিযুক্ত শিক্ষক মোহাম্মদ সামছ উদ্দিনের দাবি, দায়িত্ব পালনকালে তিনি নিয়মের বাইরে কোনো কাজ করেননি। তিনি বলেন, প্রধান শিক্ষক তার বিভিন্ন অপকর্ম ঢাকতে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দাখিল করেছেন।
 

তবে তদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে প্রমাণ সাপেক্ষে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানালেন, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শামছুন নাহার মাকছুদা। তিনি বলেন, বিষয়টি তদন্তের জন্য করিমগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
 

১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত বালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ১১ জন শিক্ষক ও  ৬৩৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন