ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাম হামলার পর ভারত ৭ মে সীমান্ত পার হয়ে সন্ত্রাসীদের আস্তানা লক্ষ্য করে হামলা চালায়। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আর উত্তেজনা বাড়াতে চাই না। তবে যদি আমাদের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেয়া হয় তাহলে আমরা খুব কড়া জবাব দেব তাতে কোনো সন্দেহ নেই।’
এস জয়শঙ্কর ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচিকে বলেন, ‘প্রতিবেশী ও ঘনিষ্ঠ অংশীদার হিসেবে পরিস্থিতি সম্পর্কে আপনার ভালো ধারণা থাকা জরুরি।’
এদিকে বৃহস্পতিবার ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং-এর সভাপতিত্বে দিল্লিতে সর্বদলীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে অংশ নেওয়ার পর কেন্দ্রীয় সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু সাংবাদিকদের বলেন, ‘অপারেশন সিন্দুর একটি চলমান অভিযান।’
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের দাবি ভারতের
তিনি বলেন, ‘প্রতিরক্ষামন্ত্রী উপস্থিত সব নেতাকে অপারেশন সিন্দুর সম্পর্কে অবহিত করেন। তাদের পুরো পরিস্থিতি এবং সরকারের উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানিয়েছেন। বিভিন্ন দলের নেতারাও নিজেদের মতামত জানিয়েছেন এবং কিছু পরামর্শ দিয়েছেন।’
কিরেন রিজিজু জানিয়েছেন, উপস্থিত সব দলের নেতারা সেনাবাহিনীর প্রতিটি পদক্ষেপে সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছেন।
সর্বদলীয় বৈঠকের পর কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, সরকার বলেছে ‘জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে গোপনীয় কিছু বিষয় তারা জানাতে পারছে না। আমরা (সকল দল) বলেছি , আমরা সরকারের সাথে আছি।’
সর্বভারতীয় মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলেমিন দলের প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসি জানিয়েছেন, তিনি পরামর্শ দিয়েছেন যে ভারতের ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) এর বিরুদ্ধে একটি আন্তর্জাতিক প্রচারণা চালানো উচিত।’
আরও পড়ুন: ইসরাইলের তৈরি ড্রোন দিয়ে হামলা চালাচ্ছে ভারত, দাবি পাকিস্তানের
গত মাসে পহেলগামে ভারতীয় পর্যটকদের ওপর জঙ্গি হামলার জন্য দিল্লি এই জঙ্গি গোষ্ঠীটিকে দায়ী করেছে। ভারত বলেছে টিআরএফ পাকিস্তানভিত্তিক লস্কর-ই-তৈয়বার একটি ফ্রন্ট। জাতিসংঘ এটিকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
]]>