মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) ম্যাচটি মাঠে গড়াবে রাত ৮টায়।
এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের নিজেদের প্রথম দেখায় গত ২৫ মার্চ শিলংয়ে ভারতের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করেছিল বাংলাদেশ। সেই ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক হয় হামজা চৌধুরীর। এরপর থেকে বাংলাদেশের ফুটবলে নতুন এক যুগের সূচনা হয়েছে। হামজার পথ ধরে বাংলাদেশের জার্সি গায়ে চাপিয়েছেন শমিত সোম, জায়ান আহমেদ, ফাহামিদুল ইসলামরা। মাঠের পারফরম্যান্সেও তার প্রভাব পড়েছে। ভারতের বিপক্ষে ফিরতি লেগের ম্যাচের আগে আত্মবিশ্বাসে টগবগ করছে হাভিয়ের কাবরেরার দল।
ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে জামাল ভূঁইয়া বলেছিলেন, ‘এটা অনেক আবেগের ম্যাচ, উত্তেজনার ম্যাচ। এই ম্যাচের পর জাতীয় দলের জন্য অনেক লম্বা বিরতি আছে। বছরটা যদি জয় দিয়ে শেষ করতে পারি, তা শুধু আমাদের জন্য নয়, সমর্থক ও আপনাদের জন্যও ইতিবাচক হবে।’
তবে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের লড়াইয়ের ইতিহাস সুখকর নয়। ১৯৭৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৩২বারের মুখোমুখি দেখায় ভারতের ১৬ জয়ের বিপরীতে বাংলাদেশের জয় ২টিতে। ড্র বাকি ১৪ ম্যাচে। কিন্তু এবারের ম্যাচের আগে চাপে ভারতই।
আরও পড়ুন: ভারত ম্যাচের আগে ফেসবুকে হামজার বিশেষ বার্তা
হামজা-শমিতদের আগমনে এখন দেশের মাঠে বাংলাদেশের ম্যাচ মানেই মাঠভরা দর্শক। প্রতিপক্ষের মাঠে গ্যালারিভর্তি দর্শক আর তারকার ভারে বাড়তি চাপ স্বাভাবিকও। ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে সেই চাপের কথা লুকালেন না ভারতের কোচ খালিদ জামিল।
তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, চাপ আছে। আমাদের তা মানতে হবে। সবাই জানে এটি একটি চাপের ম্যাচ। তবে সে জন্য আমাদের একটি ইতিবাচক ফলের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।’
এদিকে এ ম্যাচে বাংলাদেশের শুরুর একাদশে ফিরেছেন শমিত সোম ও শেখ মোরসালিন। নেপাল ম্যাচের শুরুর একাদশে থাকলেও আজ ডাগআউটে জামাল। সমালোচনা থাকলেও গোলরক্ষক মিতুলেই ভরসা রেখেছেন কোচ হাভিয়ের কাবরেরা।
বাংলাদেশের শুরুর একাদশ:
মিতুল মারমা, তপু বর্মণ, জায়ান আহমেদ, মো. সাদ উদ্দিন, তারিক কাজী, হামজা দেওয়ান চৌধুরী, সোহেল রানা, শমিত সোম, শেখ মোরসালিন, ফয়সাল আহমেদ ফাহিম ও রাকিব হোসেন।
আরও পড়ুন: জয়-পরাজয়ে কে এগিয়ে?
ভারতের শুরুর একাদশ:
গুরপ্রিত সিং সান্ধু, রাহুল বেকে, আনোয়ার আলী, সন্দেশ জিনগান, নারাভি নিখিল প্রভু, লালিয়ানজুয়ালা, সুরেশ সিং, রহিম আলী, ম্যাকার্টন লুইস নিকসন, আকাশ মিশরা ও বিক্রম প্রতাপ।

১ সপ্তাহে আগে
৪






Bengali (BD) ·
English (US) ·