শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট ডিএস আলিম মাদরাসা প্রাঙ্গণে ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য সালমান ওমর রুবেলের আয়োজনে ফ্রি চক্ষু ক্যাম্প অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ভারতের সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিএনপি ভারতের সঙ্গে বন্ধুসুলভ আচরণ চায়, কোনো মাতব্বরি চায় না। ভারতের প্রতিবেশী দেশসমূহে কোনোভাবেই ভালো যাচ্ছে না। তাদের দ্বৈতনীতির কারণে সার্কভুক্ত দেশগুলো ক্রমান্বয়ে সরে আছে। পরিবেশ ঘোলাটে না করে বর্তমান প্রেক্ষাপটে ভারতের পররাষ্ট্রনীতি পরিবর্তন করার সময় এখন এসে গেছে।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান বড় নাকি জিয়াউর রহমান বড়, এটা নিয়ে তাদের অপমান করার প্রয়োজন নেই। সাবেক সেনা কর্মকর্তারা যেভাবে শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেছেন সেই আগস্ট মাসে শেখ হাসিনা নিজ হাতে তার বাবাকে দ্বিতীয়বার হত্যা করলেন।
আরও পড়ুন: গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা পেয়েছে কমিশন
আওয়ামী লীগ শিক্ষার দিক দিয়ে একটি অকৃতজ্ঞ দল উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন তার বাবার জন্য দোয়া করবে এমন লোকও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ওদের কিন্তু বরকত ভালো না। যার কারণে তাদের নেতাকর্মীরা ঝাঁকে ঝাঁকে দেশ থেকে পালাতে হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দসহ বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ছাত্র জনতার রক্তের বিনিময়ে নতুন করে দেশ স্বাধীন হয়েছে এ স্বাধীনতার স্বাদ সকলের ঘরেই পৌঁছাতে হবে দ্রুত সময়ের মধ্যেই। কিন্তু আমরা কি দেখছি সরকার সংস্কারের নামে কালক্ষেপণ করছে। যা জনগণ সন্দেহের চোখে দেখছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলন নস্যাৎ করার জন্য এখনো দেশি-বিদেশি চক্র সক্রিয় রয়েছে।