ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বোর্ড পুনর্গঠন

৩ সপ্তাহ আগে
ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বোর্ড (এনএসএবি) পুনর্গঠন করা হয়েছে। বোর্ডের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইংয়ের (র) সাবেক প্রধান অলোক যোশিকে। ২০১২ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত র-এর প্রধান ছিলেন তিনি।

কাশ্মীরের পহেলগামে বন্দুক হামলার ঘটনায় পাকিস্তানের সঙ্গে চলমান উত্তেজনা ও সংঘাতের মধ্যে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বোর্ড (এনএসএবি) পুনর্গঠন করা হলো।

 

সাত সদস্যের বোর্ডে আরও ছয়জন সদস্যকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তারা হলেন সাবেক ওয়েস্টার্ন এয়ার কমান্ডার এয়ার মার্শাল পিএম সিনহা, সাবেক সাউদার্ন আর্মি কমান্ডার লেফটেন্যানন্ট জেনারেল একে সিং এবং সাবেক রিয়ার অ্যাডমিরাল মন্টি খান্না।

 

এছাড়া সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক এই তিন কর্মকর্তার পাশাপাশি এনএসএবির সদস্য করা হয়েছে ভারতীয় পুলিশ সার্ভিস কমিশনের দুই সাবেক কর্মকর্তা রাজীব রঞ্জন ভার্মা ও মনমোহন সিংকে। বোর্ডের সপ্তম সদস্য হলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক কর্মকর্তা বি ভেঙ্কটেশ ভার্মা।

 

আরও পড়ুন: পাকিস্তানকে সমর্থন করে পোস্ট দেয়ায় আসামে গ্রেফতার ৩০

 

গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগামে বন্দুক হামলার প্রেক্ষিতে পরদিন ২৩ এপ্রিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির (সিসিএস) বৈঠক ডাকা হয়। সিসিএস বৈঠকের পাশাপাশি আরও দুটি কমিটি রাজনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি (সিসিপিএ) ও অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিইএ) বৈঠক ডাকা হয়।

 

ধারাবাহিক বৈঠকের পর বুধবার (৩০ এপ্রিল) এনএসএবিতে রদবদলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এনএসএবির প্রধান দায়িত্ব জাতীয় নিরাপত্তাসংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় ব্যাখ্যা ও পর্যালোচনা করে সাম্প্রতিক পরিস্থিতির আলোকে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা। এনএসএবি সেই সুপারিশ করে জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলকে (এনএসসি)।

 

জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলও সময়ে সময়ে বিভিন্ন বিষয়ে এনএসএবির পরামর্শ চায়। পরিস্থিতির বিচারে এনএসএবি সেই সব বিষয়ে সরকারকে তার অভিমত জানায়। জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের শীর্ষে রয়েছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। অজিত দোভাল জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা।

 

আরও পড়ুন: কাশ্মীর হত্যাকাণ্ড / সামরিক অভিযানের ‘সবুজ সংকেত’ দিলেন মোদি!

 

পহেলগাম হামলার পর গত এক সপ্তাহ ধরে পরমাণু শক্তিধর দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। হামলার জন্য ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে পাকিস্তানকে দায়ী না করলেও তাৎক্ষণিকভাবে পাকিস্তানিদের ভিসা বাতিল, কূটনীতিক বহিষ্কার ও সিন্ধু নদের পানি বণ্টন চুক্তি স্থগিতের মতো বেশ কয়েকটি কঠোর পদক্ষেপ নেয়।

 

পাল্টা জবাব হিসেবে ভারতের জন্য নিজেদের স্থল ও আকাশসীমা বন্ধসহ একাধিক পদক্ষেপ নেয় পাকিস্তানও। এই আবহেই গত মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতীয় সেনাবাহিনীকে পাকিস্তান হামলার জন্য ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দিয়েছেন বলে খবরে বলা হয়েছে।

 

তথ্যসূত্র: দ্য ইকোনমিক টাইমস

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন