বুধবার ( ৪ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রধানত, জওয়ানদের মধ্যে আত্মহত্যার ঘটনা বেশি হয় ব্যক্তিগত কারণে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের টাস্ক ফোর্স (সিএপিএফ) কর্মীদের মধ্যে আত্মহত্যার বৃদ্ধির কারণগুলো নিয়ে গবেষণা করেছে। তারা সম্প্রতি এ তথ্য জানিয়েছে। টাস্ক ফোর্স বলছে, আত্মহত্যা করেছে তাদের মধ্যে ৮০ শতাংশেরও বেশি মারা গেছে ছুটিতে বাড়ি থেকে ফিরে আসার পর।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রধানত তাদের আত্মহত্যার কারণগুলো হলো স্ত্রী বা পরিবারের সদস্যের মৃত্যু, দাম্পত্য কলহ বা বিবাহবিচ্ছেদ, আর্থিক টানাটানি এবং শিশুদের জন্য অপর্যাপ্ত শিক্ষার সুযোগ অন্তর্ভুক্ত।
আরও পড়ুন:হত্যাচেষ্টা / ভারতে স্বর্ণমন্দিরের বাইরে শিখ নেতার ওপর বন্দুকধারীর গুলি
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এটি মোকাবিলা করার জন্য আরও বেশি জওয়ান নিয়োগ দিতে হবে যাতে তারা তাদের পরিবারের সঙ্গে বেশি সময় কাটাতে পারে।
রাজ্যসভার সঙ্গে ভাগ করা ডেটাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, যে ৪২ হাজার ৭৯৭ জন জওয়ান সরকারের ঘোষণা করা বছরে ১০০ দিনের ছুটি নীতিটি ব্যবহার করেছেন।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই রাজ্যসভায় জানান, চলতি বছর অক্টোবর পর্যন্ত ৬ হাজার ৩০২ জন কর্মী তাদের পরিবারের সাথে ১০০ দিন কাটিয়েছেন। ২০২৩ সালে এই সংখ্যা ছিল ৮ হাজার ৬৩৬ এবং এবং ২০২১ সালে এই সংখ্যা ছিল ৭ হাজার ৮৬৪ জন।
এর আগে ভারতের জওয়ানদের জন্য বছরে ১০০ দিনের ছুটি ঘোষণা করে সরকার। যাতে তারা পরিবারের সঙ্গে আরও বেশি সময় কাটাতে পারে।
এদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের টাস্ক ফোর্সকে জওয়ান এবং আসাম রাইফেলে আত্মহত্যা এবং ভ্রাতৃহত্যা প্রতিরোধে প্রতিকারমূলক ব্যবস্থার জন্য পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন:ভারতে মন্ত্রীকে কাদা ছুড়ে স্বাগত জানালেন স্থানীয়রা!
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বেশ কয়েকটি পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সমস্যাগুলো খুঁজে বের করতে এবং প্রতিকার করতে সৈন্যদের সঙ্গে অফিসারদের নিয়মিত মিথস্ক্রিয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। ডিউটি ঘণ্টা নিয়ন্ত্রণ করে জওয়ানদের পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রাম নিশ্চিত করতে হবে। সৈন্যদের জীবনযাত্রার মান বাড়াতে হবে এবং পর্যাপ্ত বিনোদনের ব্যবস্থা করতে হবে।
এছাড়া টাস্ক ফোর্স একটি স্বচ্ছ ছুটি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার পরামর্শও দিয়েছে।
]]>