ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় পাকিস্তানে নিহত বেড়ে ৮

৪ দিন আগে
পহেলগামে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলার জেরে পাল্টাপাল্টি উত্তেজনার মধ্যে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় পাকিস্তানে দুই শিশুসহ আটজন নিহত ও ৩৫ জন আহত হয়েছেন।

বুধবার (৭ মে) ভোরে সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে পাকিস্তানের আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী এ তথ্য জানিয়েছেন।

 

তিনি বলেন, ভারতের হামলায় একটি মসজিদসহ একাধিক স্থানে আঘাত হেনেছে। ‘এটি আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন’।

 

আইএসপিআরের মহাপরিচালক জানান, মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতের পর পাকিস্তানের কোটলি, ভাওয়ালপুর, মুরিদকে, বাগ ও মুজাফ্ফরবাদে ‘কাপুরুষোচিত’ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারত। পাকিস্তান সেনাবাহিনী এরইমধ্যে এর বদলা নিতে শুরু করেছে।

 

গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগামে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জনের প্রাণহানির পর থেকে পারমাণবিক ক্ষমতাধর দুই দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে এ হামলা চালাল ভারত।

 

আরও পড়ুন: ভারত-পাকিস্তানের পাল্টাপাল্টি হামলা / পাঞ্জাবে জরুরি অবস্থা ঘোষণা, স্বাস্থ্য কর্মীদের ছুটি বাতিল

 

ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে পাকিস্তান পাল্টা আক্রমণ শুরু করেছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের আইএসপিআর। এরমধ্যে প্রতিরক্ষা সূত্রের বরাতে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও টিভি জানিয়েছে, ভারতের দুটি বিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছে পাকিস্তানি বিমানবাহিনী।

 

জিও টিভির অনলাইন প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তান বিমান বাহিনী দুটি শত্রু যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে। নিরাপত্তা সূত্রগুলো এটাকে সীমান্ত পার হয়ে আগ্রাসনের জবাবে একটি শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া বলে উল্লেখ করেছে।

 

এদিকে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী নিশ্চিত করেছে যে তারা ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর অংশ হিসেবে পাকিস্তান এবং পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের ৯টি স্থান লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।

 

আরও পড়ুন: ভারতীয় ব্রিগেড সদর দফতর গুঁড়িয়ে দিলো পাকিস্তান!

 

এক বিবৃতিতে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী জানিয়েছে, কিছুক্ষণ আগে, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী অপারেশন সিন্দুর পরিচালনা করে। পাকিস্তান এবং পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসী অবকাঠামোতে আঘাত হানা হয়, যেখান থেকে ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা এবং নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।

 

মোট ৯টি স্থানকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে বলেও দাবি করা হয় বিবৃতিতে। এই অভিযানে কোনো পাকিস্তানি সামরিক স্থাপনা লক্ষ্যবস্তু করা হয়নি বলে জানানো হয়।
 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন