ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বড় অঙ্কের বিনিয়োগের ঘোষণা আদানি-আম্বানির

২ সপ্তাহ আগে
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ঘিরে বিপুল অঙ্কের বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির দুই শীর্ষ ধনকুবের। নয়াদিল্লিতে 'রাইজিং নর্থইস্ট ইনভেস্টরস সামিট'-এ অবকাঠামো, জ্বালানি ও শিল্পখাতে ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি রুপির বিনিয়োগ পরিকল্পনা তুলে ধরেন গৌতম আদানি ও মুকেশ আম্বানি।

গত শুক্রবার (২৩ মে) ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে ‘রাইজিং নর্থইস্ট ইনভেস্টরস সামিট ২০২৫’ শীর্ষক বিনিয়োগ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এক মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন দেশটির শীর্ষ ধনী মুকেশ আম্বানি ও গৌতম আদানি।

 

দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর উন্নয়ন নিয়ে এই সম্মেলনে নবায়নযোগ্য জ্বালানিকে প্রাধান্য দিয়ে অঞ্চলটিতে বিনিয়োগের নানা পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন আদানি গ্রুপের কর্ণধার গৌতম আদানি। জ্বালানি ও অবকাঠামোসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিপুল অঙ্কের বিনিয়োগের ঘোষণা দেন তিনি।

 

সম্মেলনে আদানি গ্রুপের প্রধান গৌতম আদানি বলেন, 

তিন মাস আগে আসামে ৫০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। আজ আপনার নেতৃত্বে অনুপ্রাণিত হয়ে আমি ঘোষণা করছি, আগামী ১০ বছরে আদানি গ্রুপ উত্তর-পূর্ব ভারতে আরও ৫০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে।

 

রিলায়েন্স ইন্ড্রাস্ট্রিজের এমডি মুকেশ আম্বানি বলেন, গত ৪০ বছরে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন খাতে ৩০ হাজার কোটি রুপি বিনিয়োগ করেছে তার প্রতিষ্ঠান। আগামী ৫ বছরে তা বেড়ে ৭৫ হাজার কোটি রুপিতে দাঁড়াবে। বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট এবং বিভিন্ন ফ্যাক্টরিসহ ভোগ্যপণ্য তৈরির কারখানায় ব্যয় হবে এই অর্থ।

 

আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীরে রাহুল, পাকিস্তানের হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার আশ্বাস

 

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ৮টি রাজ্য নিয়ে গঠিত। রাজ্যগুলো হলো অরুণাচল প্রদেশ, আসাম, মণিপুর, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরা ও সিকিম। এর মধ্যে প্রথম সাতটি রাজ্য সাধারণত ‘সেভেন সিস্টার্স’ নামে পরিচিত। 

 

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল দীর্ঘদিন অবহেলিত এলাকা হিসেবে পরিচিত হলেও ভৌগোলিক গুরুত্ব ও প্রাকৃতিক সম্পদের কারণে তা ক্রমেই বড় বড় কর্পোরেট সংস্থার নজরে। সরকারের সক্রিয় সহায়তায় এখন সেখানে অবকাঠামোর পাশাপাশি শিল্প ও জ্বালানি খাতের নতুন নতুন কেন্দ্র গড়ে উঠছে।

 

বিনিয়োগ সম্মেলনে নরেন্দ্র মোদি বলেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল দেশের সবচেয়ে বৈচিত্র্যপূর্ণ এলাকা। আর গত ১১ বছরে এই অঞ্চলে এক ঐতিহাসিক রূপান্তর ঘটেছে। তিনি আরও বলেন, ‘ভারতকে বিশ্বের সবচেয়ে বৈচিত্র্যপূর্ণ দেশ হিসেবে গণ্য করা হয়। আর এই বৈচিত্র্যের সবচেয়ে উজ্জ্বল প্রতিচ্ছবি হলো আমাদের উত্তর-পূর্ব। বাণিজ্য থেকে সংস্কৃতি, বস্ত্র থেকে পর্যটন—এই বৈচিত্র্যই উত্তর-পূর্বের সবচেয়ে বড় শক্তি।’

 

আরও পড়ুন: দিল্লিতে রাতভর ভারি বৃষ্টিতে বিমান চলাচল ব্যাহত, জনদুর্ভোগ

 

তিনি আরও বলেন, ‘বিকশিত ভারত গঠনের লক্ষ্যে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নয়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের কাছে উত্তর-পূর্ব শুধু একটি দিক নয়, এটি ক্ষমতায়ন, পদক্ষেপ, শক্তিশালীকরণ ও রূপান্তর—এই চারটি নীতির প্রতীক। পূর্ব ভারতের জন্য এটাই আমাদের সরকারের নীতি।’  

 

তথ্যসূত্র: দ্য ইকোনমিক টাইমস ও নিউজ ১৮ 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন