গত ৮ এপ্রিল ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সইয়ের মধ্য দিয়ে ভারতের বহুল আলোচিত সংশোধিত ওয়াকফ আইন কার্যকর হয়। সেদিন থেকেই এই আইনের বৈধতা নিয়ে সরব হতে শুরু করেন দেশটির সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ।
মণিপুর, গুজরাট, তামিলনাডু, দিল্লিসহ দেশটির বিভিন্ন এলাকায় এরইমধ্যে তুমুল বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। বিক্ষোভে উত্তাল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুর্শিদাবাদ জেলাও। জেলাটির জঙ্গীপুরে মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বিকেলের পর থেকেই শুরু হয় বিক্ষোভ। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে বাধা দিয়েছে প্রশাসন।
তবে পুলিশের দাবি, বিক্ষোভ থেকে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। ভাঙা হয় দোকান, পুড়িয়ে দেয়া হয় পুলিশের বেশ কয়েকটি গাড়ি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় প্রশাসন ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়।
আরও পড়ুন: ভারতে যেভাবে ‘দখল’ করা হচ্ছে মুসলিমদের বিপুল সম্পত্তি
প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি দিয়ে কলকাতার রাজপথ কাঁপানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে বেশ কয়েকটি মুসলিম সংগঠনও।
প্রসঙ্গত, ভারতের প্রতিরক্ষা ও রেল মন্ত্রণালয়ের বাইরে তৃতীয় বড় সম্পদের মালিক ওয়াকফ বোর্ড। নতুন আইনের সাংবিধানিক বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এরইমধ্যে দেশটির র্শীষ আদালতে এক ডজনের বেশি মামলা হয়েছে। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ এসব মামলার শুনানি করবেন ১৬ এপ্রিল।
সংশোধিত এই আইনে ওয়াকফ বোর্ডে অমুসলিম সদস্য যুক্ত হতে পারবেন, সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার চাইলে বোর্ড ভেঙে নতুন বোর্ড তৈরি করতে পারবে। একইসঙ্গে ওয়াকফ সম্পদের মালিক নির্ধারণ করার ক্ষমতা রাখা হচ্ছে সরকারের হাতে।
আরও পড়ুন: বিরোধীদের তীব্র আপত্তির মুখে ভারতের লোকসভায় ওয়াকফ বিল পাস
দেশটির মুসলিম সম্প্রদায় উদ্বেগ জানিয়ে বলছে, এতে মুসলিম স্থাপনাগুলোর নিয়ন্ত্রণ সরকারের হাতে চলে যাবে। যদিও সরকারের দাবি, নতুন ওয়াকফ আইন আরও স্বচ্ছ এবং জবাবদিহি ও অন্তর্ভূক্তিমূলক হয়েছে। যাতে দেশটির মুসলিম সম্প্রদায়ের উপকার হয়।
]]>