রোববার (৬ জুলাই ) দুপুরে কপিলমুনি প্রেসক্লাবের আয়োজনে হাসপাতালের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ দাবিগুলো জানান তারা।
বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নির্মাণাধীন থাকা হাসপাতালটির কাজ শেষ হলেও তা এখনো চালু হয়নি। ফলে এলাকার মানুষ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। দ্রুত নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে হাসপাতালটি হস্তান্তর এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানান তারা।
একই সঙ্গে বক্তারা অভিযোগ করেন, হাসপাতালের জমি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে একটি প্রভাবশালী মহল। এই চক্রটি এখন মিথ্যা মামলার মাধ্যমে প্রকল্প বাস্তবায়নে বাধা সৃষ্টি করছে বলেও দাবি করা হয়।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিভিন্ন হাসপাতালে অভিযান, কারাদণ্ডসহ চার প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
মানববন্ধনে হাসপাতাল রক্ষা ও উন্নয়ন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক এস এম মুস্তাফিজুর রহমান পারভেজসহ স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াতপন্থী একাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
খুলনার পাইকগাছার কপিলমুনিতে অবস্থিত ভরত চন্দ্র হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯১৫ সালের ৭ এপ্রিল। রায় সাহেব বিনোদ বিহারী সাধু এটি প্রতিষ্ঠা করেন “যাদব চন্দ্র চ্যারিটেবল ডিসপেনসারি ও ভরত চন্দ্র হাসপাতাল” নামে। খুলনা, সাতক্ষীরা ও যশোরের সীমান্তবর্তী এলাকায় এটি দীর্ঘদিন ধরে একমাত্র সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে আসছে।
আরও পড়ুন: করোনা সংক্রমণ বাড়লেও ‘শূন্য প্রস্তুতি’ রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে
দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা সেবায় অবহেলিত এই হাসপাতালের উন্নয়নের দাবিতে এলাকাবাসী বার বার উদ্যোগ নেয়। স্থানীয়দের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নতুন করে হাসপাতালের অবকাঠামো নির্মাণ, শয্যা বৃদ্ধি এবং পূর্বের ঐতিহাসিক নামে ফেরানোর সিদ্ধান্ত নেয়। এরইমধ্যে ২০ কোটি টাকার নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে, যার কাজ শুরু হয়েছে। শেষ হলে হাসপাতালটি ৫০ শয্যায় উন্নীত হবে।