এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ফিরতি লেগে জাতীয় স্টেডিয়ামে ১৮ নভেম্বর ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। গত মার্চে শিলংয়ে ভারতের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করে হাভিয়ের কাবরেরার দল। তবে আসছে ম্যাচে জয় পেতে মরিয়া কাবরেরা বাহিনী।
ম্যাচের শেষ দিকে মনোযোগ হারিয়ে গোল হজম করা যেন বাংলাদেশ দলের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে হয়েছে। তাই এই ধারা থেকে বেরিয়ে আসাও প্রয়োজনীয়। শমিতের বিশ্বাস, মঙ্গলবার জাতীয় স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে সব কাজ ঠিকঠাক করতে পারবেন তারা।
‘হ্যাঁ, মিডফিল্ডের নিয়ন্ত্রণ রাখার ব্যাপারে আমরা আত্মবিশ্বাসী। আমি মনে করি, পুরো দল, গোলকিপার, ডিফেন্স, মিডফিল্ড, স্ট্রাইকিং- সব পজিশনের খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাস আছে যে, আমরা ম্যাচটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারব, জিততে পারব। বিগত ম্যাচগুলোতে আমাদের পারফরম্যান্স ভালো হয়েছে, কিন্তু জয়টা পাচ্ছি না। জয়টা আমাদের পাওয়া উচিত। আশা করি, আমরা এবার সেটা পাব।’
আরও পড়ুন: সেনেগালের বিপক্ষে ব্রাজিলের শুরুর একাদশে আছেন যারা
শমিত বলেন, ‘ফুটবলে এমন হয় (শেষ দিকে মনোযোগ হারানো), তাই না? আমরা কেবল ভাগ্যেকে পক্ষে পাচ্ছি না। এমনকি নেপালের বিপক্ষে ম্যাচে ওরা যে কর্নার কিক পেয়েছে, ওইটা আসলে মনে হয় অফসাইডও ছিল, তাই না? কিন্তু ফুটবলে এগুলো হয়। জানি না, কী কারণে আমরা মনোযোগ হারাচ্ছি। কিন্তু আশা করি, ভাগ্যকে সামনে পাশে পাবো, মনোযোগ হারাবো না এবং আমরা যেন ওভাবে গোল হজম না করি। মূল বিষয় হলো, আমাদের মনোযোগ ধরে রাখতে হবে শেষ বাঁশি বাজার আগ পর্যন্ত।’
বাছাই ও অন্যান্য ম্যাচ মিলিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে শেষ দিকে খেলোয়াড়দের মনোযোগ হারানোর ঘটনা আছে একাধিক। এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচে হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচের অন্তিম সময়ে গোল হজম করে ৪-৩ ব্যবধানে হেরেছিল বাংলাদেশ। সবশেষ নেপালের বিপক্ষে যোগ করা সময়ের গোলে সম্ভাব্য জয় হাতছাড়া হয়।
ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়ের গল্পও বেশ পুরোনো। সবশেষ ২০০৩ সালে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমি-ফাইনালে মতিউর মুন্নার গোলে ২-১ ব্যবধানে ভারতকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। সবশেষ দুই দলের দেখা হয়েছিল গত মার্চে, শিলংয়ে। সেই ম্যাচটি হয়েছিল গোলশূন্য ড্রয়ে। ওই ম্যাচে হামজার অভিষেক হলেও খেলেননি শমিত। তবে দূরে বসে তিনি দেখেছেন সতীর্থদের খেলা। এবার তিনি প্রথম খেলবেন ভারতের বিপক্ষে। প্রতিপক্ষের ফাঁক-ফোকর খুঁজে পাওয়ার কথাও জানালেন শমিত।
‘ভারত ভালো দল, কিন্তু তাদেরও দুর্বলতা আছে। ওদের মিডফিল্ড লাইন ও ডিফেন্স লাইনের মাঝে ফাঁক থাকে, জায়গা থাকতে পারে। আপনারা দেখেছেন, নেপাল যেভাবে ডিফেন্ড করেছে, ভারত মনে হয় এত ভালোভাবে ডিফেন্ড করতে পারবে না, স্ট্রাকচার ওইভাবে রাখতে পারবে না। আমরা ওই জায়গাতে সুযোগটা নিতে পারবো।’
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ জার্সিতে খেলার পর যা বললেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা
‘জানি, ভারত ভালো দল, আমরাও ভালো দল। এই ম্যাচটার অনেক অর্থ আছে, তাই না? যে দ্বৈরথটা আমাদের মধ্যে আছে, ভালো প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে, কিন্তু আমরা প্রস্তুত থাকবো। আশা করি, আমরা জিততে পারবো। আমরা ভালো খেলতে পারি, ভালো পারফরম্যান্স দিতে পারি। যে জয়টা খুঁজছি আমরা, এই মঙ্গলবারের ম্যাচে সেটা আশা করি পাবো।’
নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে হামজা দ্বিতীয়ার্ধে মাঠ ছাড়ার পর ছন্দপতন হয় বাংলাদেশের। হামজা, শমিত, জায়ানদের মতো প্রবাসীদের সাথে রাকিব-সোহেলরা তাল মেলাতে পারছেন না- এমন আলোচনাও শোনা যায়। তবে এ ব্যাপারে একমত নন শমিত।
‘এই অভিযোগের সাথে আমি একমত নই। আমাদের দলটা ১১ জনের। দেশি-বিদেশি কোনো ব্যাপারই নয়, তাই না? কিভাবে জিতবো, সেটা বুঝতে আমাদের সবাইকে একসাথে থাকতে হবে। দেশি বনাম বিদেশি খেলোয়াড়- আমরা কোনোদিন এভাবে চিন্তা করিনি। এভাবে বাংলাদেশ জিততে পারবে না। আমাদের সবসময় একসাথে থাকতে হবে।’
]]>
১ দিন আগে
১








Bengali (BD) ·
English (US) ·