ভারতকে হারানোয় জাতীয় দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

১ সপ্তাহে আগে
গত মার্চে শিলংয়ে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করেছিল বাংলাদেশ। সেটি ছিল হামজা চৌধুরীর বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক ম্যাচ। সেদিন ভালো খেলেও শেষ পর্যন্ত ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়লেও ফিরতি ম্যাচের আগে জয়ের প্রতিজ্ঞা করেছিলেন হামজা। কথা রেখেছেন লেস্টার সিটির তারকা। গতকাল (১৮ নভেম্বর) ঢাকা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ভারতকে ১-০ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ।

এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ভারতের বিপক্ষে ঘরের মাঠে মোরসালিনের একমাত্র গোলে দারুণ জয়ে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।


মঙ্গলবার ঢাকায় ফুটবলপ্রেমী দর্শকে পরিপূর্ণ স্টেডিয়ামে অর্জিত এই জয়টি ২২ বছর পর ভারতের বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে বাংলাদেশের প্রথম জয়।


অভিনন্দন বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, 'এই জয় প্রতিটি বাংলাদেশিকে গর্বিত করেছে। এটি কেবল একটি ফুটবল ম্যাচের জয় নয়; এটি লক্ষ লক্ষ তরুণ-তরুণী, যারা খেলাধুলাকে ইতিবাচক শক্তির উৎস হিসেবে দেখে, তাদের জন্য অনুপ্রেরণা। জাতি গঠনে খেলাধুলার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ভারতের মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে এমন একটি জয় এক্ষেত্রে একটি তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতি।'


আরও পড়ুন: ২২ বছর পর ভারতকে হারালো বাংলাদেশ


প্রধান উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করে বলেন, এই জয় বাংলাদেশের ফুটবলের গৌরবময় দিনগুলো ফিরে পেতে সহায়তা করবে।


তিনি আরও বলেন, ২০২৪ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ফুটবলকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়ে আসছে এবং আশা প্রকাশ করেন আগামী দিনের সরকারগুলো এই ধারা অব্যাহত রাখবে।


ম্যাচের ১১ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে দারুণ গোলটি করেন মোরসালিন। ম্যাচের বাকি সময় লিড ধরে রাখে বাংলাদেশ। ২০০৩ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সাফ গোল্ডকাপের সেমিফাইনালে ভারতকে শেষবার হারিয়েছিল বাংলাদেশ। 


ম্যাচের নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলের সমতা থাকায় অতিরিক্ত সময়ে গড়ায় ম্যাচ। ৯৮ মিনিটে মতিউর মুন্না জয়সূচক গোলটি করেন। নির্ধারিত সময়ে রোকনুজ্জামান কাঞ্চনের গোলে লিড নিয়েছিল বাংলাদেশ। আলভিতো ডি'কুনিহার গোলে সমতা এনেছিল ভারত। পরে ফাইনালে মালদ্বীপকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন