ভারতকে আরও ‘এস-৪০০’ দিচ্ছে রাশিয়া!

৪ সপ্তাহ আগে
ভারত ২০২৬ সালেই রুশ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ‘এস-৪০০’ হাতে পাচ্ছে বলে জানা গেছে। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে এমনটাই জানিয়েছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম। ওই সূত্রের দাবি, ২০২৬ সালের মধ্যে এস-৪০০ এর একটি ইউনিট ভারতে আসবে। আরও একটি ইউনিট আসবে ২০২৭ সালের মধ্যে।

২০১৮ সালে এস-৪০০ এর মোট পাঁচটি ইউনিট ভারতে পাঠানোর বিষয়ে সম্মত হয়েছিল রাশিয়া। এগুলোর মধ্যে তিনটি অনেক আগেই ভারতে আসে। অবশিষ্ট দু’টি ইউনিটের জন্য দীর্ঘদিন ধরেই তদবির করছিল নয়াদিল্লি। ঘটনাচক্রে, চীনের এসসিও সম্মেলনের ফাঁকে নরেন্দ্র মোদি এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বৈঠকের পরেই গতি পেল এস-৪০০ ভারতে সরবরাহ করার বিষয়টি।

 

ভারতীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের দাবি, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর ভারতের ১৫টি শহরকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছোনোর আগেই সেগুলো ধ্বংস করে দেয় ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা, যা সম্ভব হয়েছিল রুশ এস-৪০০ ব্যবহারেই। 

 

ইতোমধ্যেই রাশিয়ার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এস-৪০০ ট্রায়াম্ফের নির্মাণ শুরু হয়েছে। হয়েছে প্রযুক্তি হস্তান্তরপর্ব। এস-৫০০ ট্রায়াম্ফটর-এম-এর ক্ষেত্রেও দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় একই নীতি অনুসরণ করতে ঐকমত্য হয়েছে দু’পক্ষ। 

 

আরও পড়ুন: চীনের কুচকাওয়াজে যোগ না দিয়েই কেন ফিরে এলেন মোদি?

 

দেশের স্বাধীনতা দিবসের বার্তায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি ঘোষণা করেছিলেন, ভারতও নিজস্ব আকাশসুরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করবে। আগামী ১০ বছরের মধ্যেই সেটি তৈরি করার লক্ষ্য নেয়া হয়েছে। শত্রুপক্ষের হামলা থেকে দেশের আকাশকে নিরাপদ রাখতেই এটি তৈরি হচ্ছে। এই আকাশসুরক্ষা প্রকল্পের নাম দেয়া হয়েছে ‘মিশন সুদর্শন চক্র’। 

 

কেমন হবে এই আকাশসুরক্ষা ব্যবস্থা, তা নিয়ে কোনো বিস্তারিত মন্তব্য করেননি মোদি। তবে বিশেষজ্ঞদের অনুমান, ইসরাইলের আকাশসুরক্ষা ব্যবস্থা ‘আয়রন ডোম’-এর মতো কাজ করতে পারে এটি। তারা মনে করছেন, আরও এস-৪০০ ব্যবস্থায় সেনাবাহিনীর হাতে এলে ‘মিশন সুদর্শন চক্র’ শক্তিশালী হবে।

 

গত বছর রাশিয়ায় গিয়ে এস-৪০০ ব্যবস্থা সরবরাহের বিষয়টি তুলেছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। রাশিয়ার সামরিক কর্মকর্তা দিমিত্রি শুগায়েভ রুশ সংবাদ সংস্থা ‘তাস’-কে বলেন, ‘ভারতের কাছে ইতোমধ্যেই এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে। আমরা এই বিষয়ে সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি করতে পারি। আর তার অর্থ হলো, আরও নতুন জিনিস সরবরাহ করা। এখন আমরা এই বিষয়ে আলোচনা করছি।’ 

 

অবশ্য এই রুশ কর্মকর্তা নির্দিষ্ট কোনো সময়ের কথা তখন উল্লেখ করেননি। 

 

আরও পড়ুন: তেল যেভাবে রাশিয়া, চীন ও ভারতকে আরও কাছাকাছি আনলো
 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন