মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) আখাউড়া সীমান্তে এমন উত্তেজনা বিরাজ করছে বলে জানান ত্রিপুরা ফেরত যাত্রীরা। তবে সকাল থেকে পণ্য রফতানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। এ অবস্থায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যেকোনো ধরনের অপতৎপরতা রোধে তারা প্রস্তুত রয়েছেন।
বিজিবি ইমিগ্রেশন সূত্র ও ভারত ফেরত যাত্রীরা জানান, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় কুঞ্জবন এলাকায় সোমবার (২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন অফিসে হামলা করা হয়। এ ঘটনার পর সেখানকার ক্ষমতাসীন দল বিজেপি নেতৃত্বাধীন দলীয় নেতাকর্মীরা আগরতলা থেকে আখাউড়া স্থলবন্দরমুখী লংমার্চ কর্মসূচি দেন এদিন। তবে লংমার্চটি বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত আখাউড়া সীমান্তে আসতে পারেনি।
আরও পড়ুন: আগরতলার বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের ভিসা ও কনস্যুলার সেবা বন্ধ
এদিকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আখাউড়া-আগরতলা সড়কে বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে স্থলবন্দরের সড়কটি বন্ধ করে দিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
আখাউড়া স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা মো. খাইরুল আলম জানান, দুই দেশের যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে। তবে ভারত ফেরত বাংলাদেশি যাত্রীরা অনেকে তাদের ওপর অত্যাচার নির্যাতনের কথা জানিয়েছেন। বিষয়গুলো আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতীয় আগ্রাসনের উত্তাল বরিশালে
এ ব্যাপারে ৬০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কোম্পানি কমান্ডার লে. কর্নেল এ এম জাবের বিন জব্বার জানান, সীমান্তে যেকোনো ধরনের অপতৎপরতা রোধ করার লক্ষ্যে বিজিবি প্রস্তুত রয়েছে। তবে তিনি ক্যামেরার সামনে আর কিছু বলতে রাজি হননি।
এছাড়া আখাউড়া সীমান্তে যেকোনো ধরনের উত্তেজনা রোধ করার লক্ষ্যে বিজিবির পক্ষ থেকে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।