ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে তথ্যযুদ্ধও চলছে

২১ ঘন্টা আগে
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে লড়াই শুধু সামরিক শক্তিতে নয়, চলছে তুমুল তথ্যের যুদ্ধও। শুরু হয়েছে সামরিক উত্তেজনার ফাঁকে ছবি আর ভাষ্য দিয়ে জনগণকে নিয়ন্ত্রণের লড়াই।

কাশ্মীর ঘিরে ফের উত্তপ্ত ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত। মঙ্গলবার (৬ মে) দিবাগত রাতের বিমান হামলার পর দুই পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী পৌঁছেছে যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে। তবে এবার লড়াই শুধু মাটিতে নয়, চলছে তথ্যের যুদ্ধও।

 

৭৭ বছরের পুরোনো সংঘাতের ধারাবাহিকতায় এবারও ভারত-পাকিস্তানের লড়াইয়ে সত্যকে ছাপিয়ে উঠেছে তথ্য-প্রতিযোগিতা। পাকিস্তান অভিযোগ করছে, ভারতীয় বাহিনী ছয়টি শহরে ও একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে। প্রাণ গেছে ৩১ জন বেসামরিক মানুষের, যার মধ্যে রয়েছে তিন বছরের একটি শিশুও। ইসলামাবাদ বলছে, হামলার লক্ষ্য ছিল নিরীহ জনপদ, যা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের সামিল।

 

আরও পড়ুন: ভারত-পাকিস্তানের পাল্টাপাল্টি হামলা, দিল্লিতে উচ্চ সতর্কতা জারি

 

অন্যদিকে, নয়াদিল্লির দাবি ভিন্ন। তারা বলছে, গত মাসে পহেলগামে প্রাণঘাতী হামলার জবাবে চালানো হয়েছে এই অপারেশন। ৯টি স্থানে ‘সন্ত্রাসী অবকাঠামো’ লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। ভারতের মতে, নিহতরা জঙ্গি সংশ্লিষ্ট ছিলেন। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলছেন, কোনো বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

 

সবচেয়ে বিতর্কিত তথ্য যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হওয়া নিয়ে। পাকিস্তান দাবি করেছে, পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুঁড়িয়ে দিয়েছে তারা। ভারত এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেনি। তবে তিনটি বিমান ভূপাতিত হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নিরাপত্তা কর্মকর্তারা। তবে সেগুলো কোন দেশের, তা স্পষ্ট নয়।

 

আরও পড়ুন: সামরিক ঘাঁটিতে পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা ব্যর্থ করা হয়েছে

 

তথ্য-সংকটে আরও উত্তাপ যোগায় নিয়ন্ত্রণরেখায় সাদা পতাকা উড়ানোর অভিযোগ। পাকিস্তানের দাবি, একটি সামরিক পোস্টে ভারতীয় সেনারা আত্মসমর্পণের সংকেত দিয়েছে। ভারতের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য আসেনি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন লড়াই শুধু সীমান্তে নয়, বরং মনোজগতে তথ্য, ভাষ্য আর জনমত ঘিরেই মূল যুদ্ধ।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন