খাজা আসিফ বলেছেন, কাবুল ও নয়াদিল্লির সাথে উত্তেজনার মধ্যে ভারত পাকিস্তানকে পূর্ব ও পশ্চিম ফ্রন্টে ব্যস্ত রাখতে চায়।
পাকিস্তানের পূর্বে ভারতের সঙ্গে এবং পশ্চিমে আফগানিস্তানের সীমান্ত রয়েছে।
আরও পড়ুন:আফগানিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষতি করছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী: জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ
তিনি দেশটির পশ্চিম সীমান্তে আফগানিস্তানের সাথে সাম্প্রতিক সংঘর্ষ এবং মে মাসে অপারেশন সিন্দুরের সময় পূর্ব সীমান্তে ভারতের সাথে সংঘাতের কথা উল্লেখ করেছেন।
রোববার জিও নিউজের সাথে আলাপকালে প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘যদি প্রমাণের প্রয়োজন হয়, তাহলে আমাদের কাছে আছে। ভারত কীভাবে পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদের সাথে জড়িত এবং তারা কিভাবে আমাদের দুটি ফ্রন্টে ব্যস্ত রাখতে চায়; পূর্ব ও পশ্চিম।’
গত মাসে সীমান্তে সংক্ষিপ্ত সংঘর্ষের পর সম্পর্কের দ্রুত অবনতি ঘটে। পরে শুক্রবার ভোরে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি অব্যাহত রাখতে সম্মত হয়।
পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা তীব্র আকার ধারণ করার পর তুরস্কে আলোচনায় বসে দুই দেশ। ৯ অক্টোবর পাকিস্তান আফগানিস্তানে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের অভয়ারণ্যগুলোতে বিমান হামলা চালায়। এর ফলে ১১ অক্টোবর সীমান্তে সংঘর্ষ শুরু হয়।
১৮-১৯ অক্টোবর দোহায় আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধবিরতি ঘোষণার আগে কয়েকদিন ধরে এই সংঘর্ষ অব্যাহত ছিল। কয়েকদিনের অচলাবস্থার পর ইস্তাম্বুল চুক্তিটি আসে, যাতে সংঘাত অনেকটা বন্ধ করে দেয়।
এদিকে, ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়, এই বছরের মে মাসে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে সংঘাতের পর থেকে একটি অস্বস্তিকর শান্তি বজায় রয়েছে। যেখানে দুই দেশের কয়েকদিনের সংঘাতের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি হয়। তারপর থেকে, ভারতীয় রাজনৈতিক ও সামরিক নেতৃত্ব, যার মধ্যে সামরিক শাখার প্রধানরাও রয়েছেন, আক্রমণাত্মক বিবৃতি দিয়ে চলেছেন।
আরও পড়ুন:তাইওয়ান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রকে আবারও সতর্ক করল চীন
এদিকে, প্রতিবেদনে বলা হয়, আফগানিস্তানের সাথে দ্বিতীয় দফা আলোচনায় তিন দফা সমঝোতা তৈরি হয়েছে — যুদ্ধবিরতি অব্যাহত রাখা, শান্তি নিশ্চিত করার জন্য একটি পর্যবেক্ষণ ও যাচাইকরণ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা এবং লঙ্ঘনের জন্য শাস্তি।
]]>
২ সপ্তাহ আগে
৩







Bengali (BD) ·
English (US) ·