সাক্ষাৎকারে কাশ্মীরের পহেলগাম হামলার ‘স্বচ্ছ, ন্যায্য ও নিরপেক্ষ তদন্ত’ দাবি করেছেন বিলাওয়াল। এজন্য ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সহযোগিতার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরির গুরুত্বের ওপরও জোর দেন তিনি। এই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলে বিষয়টা সংঘাতে রূপ নিতে পারে বলে সতর্ক করেন তিনি।
বিলাওয়াল বলেন, ‘এটা যদি না ঘটে (আন্তর্জাতিক তদন্তের মাধ্যমে সুরাহা) তবে বিষয়টা বিমানবাহিনী বা অন্যান্য বাহিনীর মধ্যে একটা সীমিত সংঘর্ষে রূপ নিতে পারে।’ এমনকি পরমাণু যুদ্ধের মতো বড় সংঘাত শুরু হতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। বলেন, ‘দুইটা পরমাণু শক্তিধর দেশ। আল্লাহ না করুক, পরমাণু সংঘাতও ঘটতে পারে।’
তবে সাক্ষাৎকারে বিলাওয়াল এও বলেন, ভারতের যেকোনো আগ্রাসনের জবাব দেয়ার জন্য পাকিস্তানের ‘পূর্ণ সক্ষমতা’ রয়েছে। যুদ্ধের জন্য পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী, বিমান বাহিনী ও নৌবাহিনী প্রস্তুত রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন: কাশ্মীরে হামলাকারীদের অবশ্যই বিচার হবে: ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আমাদের সশস্ত্র বাহিনী, বিমান বাহিনী ও নৌবাহিনী সম্পূর্ণরূপে সক্ষম। দুই দেশের মধ্যে অতীতের যুদ্ধের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট উল্লেখ করে বলেন, ‘আমরা আশা করি, তেমনটা আর ঘটবে না। সেই সাধারণ বোধটা যেন আমাদের মধ্যে থাকে।’
গত ২২ এপ্রিল ভারত অধিকৃত কাশ্মীরের পর্যটনকেন্দ্র পহেলগামে বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটে। তাতে ২৬ জন পর্যটক নিহত হন। এ হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করেছে নয়াদিল্লি। তবে ইসলামাবাদ এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।
হামলার জন্য ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে পাকিস্তানকে দায়ী না করলেও তাৎক্ষণিকভাবে পাকিস্তানিদের ভিসা বাতিল, কূটনীতিক বহিষ্কার ও সিন্ধু নদের পানি বণ্টন চুক্তি স্থগিতের মতো বেশ কয়েকটি কঠোর পদক্ষেপ নেয়। ভারতের জলশক্তিমন্ত্রী সিআর পাতিল বলেন, পাকিস্তানকে এক ফোঁটা পানিও দেয়া হবে না।
আরও পড়ুন: এপ্রিলেই ৯ কাশ্মীরিকে হত্যা করেছে ভারতীয় বাহিনী: রিপোর্ট
জবাবে হুংকার দিয়ে বিলাওয়াল বলেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সভ্যতার উত্তরাধিকার লাভের জন্য চিৎকার করলেও প্রকৃত রক্ষকরা পাকিস্তানের মাটিতেই আছেন। সিন্ধু আমাদের এবং এটি আমাদেরই থাকবে। এই নদীতেই হয় পানি, না হয় তোমাদের রক্তপ্রবাহিত হবে।’
]]>