তিনি বলেন, তবে যেভাবে পুশইন করা হচ্ছে এটা কোনোভাবেই মেনে নেয়া হবে না। বর্তমান সরকার কঠোর পদক্ষেপ না নিলে এর দায়ভার তাদের নিতে হবে। এবং সীমান্তে পুশইনের দায় সরকার এড়াতে পারে না।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) দুপুরে পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার মির্জাপুর বার আউলিয়ার মাজারের বার্ষিক ওরশ শরীফ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
এনসিপির এই নেতা বলেন, আমরা দেখেছি প্রথম হামলাটা কিন্তু ভারত করেছে। একটা দেশের যখন ফ্যাসিস্ট সরকার চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে যায় তখন তারা এরকম যুদ্ধের মতো বিভিন্ন পরিস্থিতি ঘটানোর এবং তৈরি করার চেষ্টা করে। কারণ এর মাধ্যমে দেশ যখন অস্থিতিশীল পরিবেশে যায় তখন ওই ফ্যাসিস্ট এর বিরুদ্ধে কথা না বলে জনগণ যুদ্ধ নিয়ে ব্যস্ত থাকে। কীভাবে যুদ্ধ থেকে বাঁচা যায়, ক্ষয়-ক্ষতি থেকে বাঁচা যায়।
আরও পড়ুন: ভোটারদের বয়স ১৬ করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে: সারজিস
সারজিস বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের মতো জায়গায় করিডোর দেয়া তার পূর্বে জনগণের রায় লাগবে। বাংলাদেশের যে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলো বাংলাদেশে রাজনীতি করছে তাদের রায় লাগবে। এটা কোন ছোট বিষয় না। পূর্বে করিডোরের নামে বিদেশি এজেন্ট এসেছে। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা দেশে ঢুকেছে। নানা কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছে। এই সুযোগ আমরা আমাদের বাংলাদেশে হতে দিব না। জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত এই দেশের ইন্টিরিম সরকার একায় নিতে পারে না। একই সঙ্গে সামগ্রিক বিষয় পর্যবেক্ষণ করে সেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, যে সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন, জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে আপোষহীন থাকে বলেও জানা এনসিপির এই নেতা।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে রাজনৈতিক বড় হাতিয়ার হচ্ছে মিথ্যা মামলা। আর এই মিথ্যে মামলা দিয়ে লাখ লাখ টাকার বাণিজ্য করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের মতো বর্তমানে কিছু রাজনৈতিক নেতা এসব মামলা করছেন। কিছু পুলিশও তাদের সহযোগিতা করছে। আমরা চাই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসরদের নামে মামলা হবে, বিচার হবে- দৃশ্যমান শাস্তি হবে। কিন্তু আমরা কখনো চাই না, একজন নিরপরাধ মানুষকে হয়রানি করা হোক। যেকোনো রাজনৈতিক দলের কোনো নেতাকর্মী অন্যায় বা অপকর্ম না করে, একই সঙ্গে দলীয় প্রভাব না খাটায় তাহলে তার নামে মিথ্যা মামলা কেন হবে। যদি হয়, আর যারা করছে তার সাথে আওয়ামী লীগের পার্থক্য কোথায়। আওয়ামী লীগ একই কাজ বিএনপি, জামায়াতসহ অন্যদের সঙ্গে করেছিল। কিন্তু আজ তো আওয়ামী লীগ করছে না- অন্য দলের কেও করছে। আর যারা করছে তারা আওয়ামী লীগের মতো একই কাজ করছে।
একই সঙ্গে সারজিস বলেন, একটি চক্র লিস্ট সাজিয়ে তাদের ফোন দেয়। নাম না দেয়ার কথা বলে টাকা চাচ্ছে। একই সঙ্গে বিভিন্ন অপরাধমূলক পন্থা অবলম্বন করে যাচ্ছে। আমরা সোজা কথায় বলতে চাই এর দায়ভার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, আইন উপদেষ্টা এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে নিতে হবে।
]]>