শনিবার (১০ মে) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘শান্তি প্রতিষ্ঠার পথ বেছে নেয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও শেহবাজ শরীফের প্রজ্ঞা, বিচক্ষণতা ও রাষ্ট্রনায়কত্বের জন্য আমরা তাদের প্রশংসা করি।’
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, তিনি ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স গত ৪৮ ঘন্টা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও শেহবাজ শরীফসহ ভারতীয় ও পাকিস্তানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে অব্যাহত যোগাযোগ করেছেন।
এর আগে ট্রাম্প জানান, ভারত ও পাকিস্তান ‘পূর্ণ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে’ সম্মত হয়েছে। নিজের মালিকানাধীন সোশ্যাল মিডিয়া ট্রুথ-এ এক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আমি আনন্দের সাথে ঘোষণা করছি যে ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দীর্ঘ রাতব্যাপী আলোচনার পর ভারত ও পাকিস্তান একটি পূর্ণ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে চার সপ্তাহে ক্ষতি হবে ৫০ হাজার কোটি ডলার!
ট্রাম্পের পোস্টের কয়েক মিনিট পরেই ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উভয় দেশই যুদ্ধবিরতির বিষয়টি নিশ্চিত করে। ভারত জানিয়েছে, শনিবার বিকেল থেকে স্থল, সমুদ্র ও আকাশ পথে যুদ্ধবিরতি কার্যকরে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার নিশ্চিত করেছেন, পাকিস্তান ও ভারত তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকরভাবে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘পাকিস্তান সর্বদা তার সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার সাথে আপস না করে এই অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়েছে।’
ভারত অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগামে বন্দুক হামলার জন্য পাকিস্তানকে দোষারোপ করে ভারত। ইসলামাবাদ এই অভিযোগ নাকচ করে। এরপরও নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদের পাল্টা পদক্ষেপ উত্তেজনা বাড়তে থাকে।
অবশেষে গত মঙ্গলবার (৬ মে) দিবাগত মধ্যরাতে আজাদ কাশ্মীর ও পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক বিমান হামলা চালায় ভারত। ওই অভিযানের নাম দেয়া হয় ‘অপরারেশন সিঁদুর’।
আরও পড়ুন: ভারতের ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র গুদাম গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে, দাবি পাকিস্তানের
হামলায় কয়েক ডজন বেসামরিক নাগরিক হতাহত হওয়ার পাশাপাশি বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েয়েছে। তাৎক্ষণিক প্রতিরোধের অংশ হিসেবে পাকিস্তানি বাহিনী যুদ্ধবিমান দিয়ে হামলা প্রতিহতের চেষ্টা চালায়।
এ সময় ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয় বলে দাবি ইসলামাবাদের। এছাড়া বেশ কয়েকজন ভারতীয় নাগরিক হতাহত হয়। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে দুটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হওয়ার খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।
এরপর থেকে প্রতিবেশী দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে হামলা পাল্টা হামলা অব্যাহত রয়েছে। হামলায় ব্যবহার করা হচ্ছে যুদ্ধবিমান, ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন। এতে সামরিক ও বেসামরিক মিলিয়ে কয়েকশ মানুষ হতাহতের পাশাপাশি উভয় পক্ষের বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
]]>