কারণ পাকিস্তানের শুধু ‘সন্ত্রাসী অবকাঠামো’ লক্ষ্য করে ভারত হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেন জয়শঙ্কর।
সদ্য সমাপ্ত জার্মানি সফরের সময় ফ্রাঙ্কফুর্টার অলগেমেইন জেইতুং সংবাদপত্রের সাথে এক সাক্ষাৎকারে জয়শঙ্কর বলেন, ‘পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদ একটি খুবই উন্মুক্ত বিষয়। দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষের ফলে পারমাণবিক সমস্যা তৈরি হওয়ার ন্যারেটিভ সন্ত্রাসবাদের মতো ভয়ঙ্কর কার্যকলাপকে উৎসাহিত করে।’
আরও পড়ুন:ভারত-কানাডা কূটনৈতিক সম্পর্ক ভালো করার চেষ্টা করছে, দাবি জয়শঙ্করের
সাক্ষাৎকারে তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, ভারত ও পাকিস্তান পারমাণবিক সংঘাতের কতটা কাছাকাছি ছিল। এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘খুব, খুব দূরে। আমাদের লক্ষ্যবস্তু ছিল সন্ত্রাসী অবকাঠামো। খুব পরিমাপ করে, সাবধানতার সাথে এবং উত্তেজনা বৃদ্ধি না করার পদক্ষেপ ছিল।’
জয়শঙ্কর, যিনি গত সপ্তাহে নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক এবং জার্মানি সফরে গিয়ে পাকিস্তানে ‘সন্ত্রাসী স্থাপনাগুলোতে’ ভারতের হামলা সম্পর্কে আলোচনাকারীদের ব্রিফ করেছিলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘কোনো পর্যায়েই পারমাণবিক স্তরে পৌঁছানো হয়নি। বিশ্বের এমন একটি ন্যারেটিভ আছে যে আমাদের অংশে যা কিছু ঘটে তা সরাসরি পারমাণবিক সমস্যার দিকে পরিচালিত করে। এটি আমাকে অনেক বিরক্ত করে কারণ এটি সন্ত্রাসবাদের মতো ভয়াবহ কার্যকলাপকে উৎসাহিত করে।’
গত মাসে জম্মু ও কাশ্মীরে বন্দুকধারীর হামলায় ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার প্রতিশোধ হিসেবে ভারত ৭ মে অপারেশন সিন্দুর শুরু করে।
আরও পড়ুন:ভারতে করোনাভাইরাস: সারা দেশে আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ছাড়াল
পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের নয়টি স্থানে ‘সন্ত্রাসী স্থাপনা’ লক্ষ্য করে হামলা চালানোর দাবি জানায় ভারত। পাকিস্তান পাল্টা হামলা চালায়। এর ফলে উভয় পক্ষই ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র এবং দূরপাল্লার অস্ত্র ব্যবহার করে এবং সর্বাত্মক যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি হয়। টানা কয়েকদিনের সংঘাতের পর ১০ মে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছায় ভারত-পাকিস্তান।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
]]>