রোববার (২৭ এপ্রিল) তেহরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরএনএর বরাত দিয়ে এ খবর জানায় পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) জম্মু ও কাশ্মীরে পহেলগামে বন্দুকধারীরা হামলা চালালে ২৬ জন নিহত হন। যাদের বেশিরভাগই পর্যটক ছিলেন। এই হামলার দায় দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) স্বীকার করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন:কাশ্মীর হামলার নিরপেক্ষ তদন্তে প্রস্তুত পাকিস্তান: শেহবাজ শরীফ
এই ঘটনার পর থেকে ভারত-পাকিস্তান একে অপরের বিরুদ্ধে একের পর এক পদক্ষেপ নিয়েছে। ভারত একতরফাভাবে গুরুত্বপূর্ণ সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করেছে এবং পাকিস্তান প্রতিশোধ হিসেবে সিমলা চুক্তি স্থগিত রাখার হুমকি দিয়েছে এবং ভারতীয় বিমানের জন্য তার আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে।
এদিকে, ভারত এই ঘটনায় হামলাকারীদের সাথে সীমান্তের বাইরে যোগসূত্রের ইঙ্গিত দিয়েছে, অন্যদিকে পাকিস্তান দৃঢ়ভাবে কোনো সম্পৃক্ততা থাকার কথা অস্বীকার করেছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ ইরানের প্রেসিডেন্টকে আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন এবং উত্তেজনা কমাতে ইরানের মধ্যস্থতা করার প্রস্তুতিকে স্বাগত জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ আরও জোর দিয়ে বলেন, ‘পাকিস্তান এই অঞ্চলে শান্তি চায় এবং ইরান যদি এই বিষয়ে ভূমিকা পালন করতে চায়, তাহলে ইসলামাবাদ তা স্বাগত জানাবে।’
এদিকে, এ বিষয়ে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘পাকিস্তান সকল ধরনের সন্ত্রাসবাদের নিন্দা করে এবং ভারত-অধিকৃত কাশ্মীর অঞ্চলের পহেলগামে সাম্প্রতিক হামলার সাথে এর কোনো যোগসূত্র নেই।’
সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, ‘ইরানের বন্দরে শক্তিশালী বিস্ফোরণের পর ইরানের সরকার এবং জনগণের সাথে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী সংহতি প্রকাশ করেছেন এবং বলেছেন যে ইসলামাবাদ এই ঘটনা মোকাবেলায় তেহরানকে সহায়তা করতে প্রস্তুত।’
আরও পড়ুন:পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর সঙ্গে ব্যাপক গোলাগুলি, নিহত ৬
ইরানের প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান তার পক্ষ থেকে বন্দরের ঘটনার প্রতি সংহতির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেহবাজকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।