এরই মধ্যে বিক্ষোভকে কেন্দ্র সহিংসতায় ১৯ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। হতাহতের পর পদত্যাগ করেছেন নেপালের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখক।
কাঠমান্ডু পোস্টের খবরে বলা হয়, ভারত-নেপাল সীমান্তে কর্তৃপক্ষ সতর্কতা জারি করেছে। ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী সশস্ত্র সীমা বল (এসএসবি) সতর্কতা বাড়িয়েছে এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।
আরও পড়ুন:সামরিক হেফাজতে হৃদরোগে ভুগছেন মিয়ানমারের সু চি, ছেলের অভিযোগ
কর্মকর্তারা এএনআইকে জানিয়েছেন, ‘সশস্ত্র সীমা বল ঘটনাস্থলের উপর কড়া নজর রাখছে।’
সংঘর্ষের পর নেপালের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখক পদত্যাগ করেছেন এবং প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। একজন মন্ত্রীর মতে, মন্ত্রিসভার বৈঠকের সময় নৈতিক কারণে লেখক পদত্যাগ করেছেন।
এর আগে নেপালের অস্থিরতা নিয়ে আলোচনার জন্য জরুরি বৈঠক ডাকেন প্রধানমন্ত্রী কেপি ওলি।
সোমবার সকালে ‘জেনারেশন জেড’ এর হাজার হাজার তরুণ-তরুণী, যাদের অনেকেই তাদের স্কুল বা কলেজের পোশাক পরে রাস্তায় নেমে আসেন এবং বিক্ষোভ করেন। এক পর্যায়ে সংসদ ভবনের ভেতর ঢুকে পড়লে সংঘর্ষ তীব্র আকার ধারণ করে। নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিক্ষোভকারীদের ওপর কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয়।
১৯ জন নিহত হওয়ার পর অস্থিরতা নিয়ে আলোচনা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী কে.পি. শর্মা অলি জরুরি মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকেন।
আরও পড়ুন:তরুণদের বিক্ষোভে উত্তাল নেপাল, কাঠমান্ডুতে কারফিউ জারি
দুর্নীতি ও সামাজিকমাধ্যম এক্স, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং ইউটিউবসহ ২৬টি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ এবং সাইট নিষিদ্ধ করার সরকারি আদেশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নামেন জেন-জি সদস্যরা।