জয়শঙ্কর টেলিভিশনে সম্প্রচারিত বৈঠকের উদ্বোধনী ভাষণে বলেন, ‘গত অক্টোবরে কাজানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে বৈঠকের পর থেকে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ক্রমাগত উন্নত হচ্ছে। আমি আত্মবিশ্বাসী যে এই সফরে আমার আলোচনা সেই ইতিবাচক ধারা বজায় রাখবে।’
আরও পড়ুন:ভারত-চীন সম্পর্কের মূল ‘কাঁটা’ তিব্বত ইস্যু!
বৃহত্তর ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কথা উল্লেখ করে জয়শঙ্কর বলেন, ‘আজ আমরা যে আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছি, তা খুবই জটিল। প্রতিবেশী দেশ এবং প্রধান অর্থনীতি হিসেবে, ভারত ও চীনের মধ্যে মতামত ও দৃষ্টিভঙ্গির উন্মুক্ত বিনিময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
২০২০ সালে পূর্ব লাদাখে সংঘটিত মারাত্মক সীমান্ত সংঘর্ষের পর এটি জয়শঙ্করের প্রথম চীন সফর। ওই সংঘর্ষ ভারত-চীনের সম্পর্ককে স্থবির করে দিয়েছিল।
পূর্ব লাদাখে সামরিক অচলাবস্থা শুরু হয় ২০২০ সালের মে মাসে, যা শেষ হয় সেই বছরের জুন মাসে গালওয়ান উপত্যকায় এক মারাত্মক সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে। ২০২৪ সালের অক্টোবরে একটি বিচ্ছিন্নতা চুক্তির হলে উত্তেজনা কমে।
এদিকে, ২০২৪ সালের ২৩ অক্টোবর কাজানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাক্ষাতের পর সম্পর্কের ক্ষেত্রে এক বিরাট পরিবর্তন আসে ভারত ও চীনের। এর ফলে দ্বিপাক্ষিক সংলাপ প্রক্রিয়া পুনরুজ্জীবিত করার এবং ধীরে ধীরে সম্পর্ক স্থিতিশীল করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশের বিশ্বস্ত বন্ধু ও অংশীদার হতে চায় চীন
সূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
]]>