রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের সোনাখোলা গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই জাকু মাতুব্বর নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। তিনি সোনাখোলা গ্রামের মৃত আনোয়ার মাতুবরের ছেলে।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের নলিয়া গ্রামের কুতুবউদ্দিনের একটি ভ্যান ছিনতাই করে সোনাখোলা গ্রামের মোহসিনের ছেলে সালাউদ্দিনসহ তার দুই বন্ধু।
এই ভ্যান চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোববার সন্ধ্যার পর দুই ঘণ্টাব্যাপী সালিশ বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
সালিশ বৈঠক চলাকালে নলিয়া গ্রামের ভ্যান চালক কুতুবউদ্দিনসহ তার লোকজনকে অপমান করে তাড়িয়ে দেয় সোনাখোলা গ্ৰামের শাহজাহান খাঁ দলের সালাউদ্দিনসহ তার লোকজনকে। তখন সালিশের মধ্যে সোনাখোলা গ্রামের বাদশা মাতব্বরের দলের জাকু মাতুব্বরের সঙ্গে সালাউদ্দিনের তর্ক বিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে হাতাহাতি পরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুই পক্ষের লোকজন।
আরও পড়ুন: নাসিরনগরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে যুবক নিহত
সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলা দুই ঘণ্টা ব্যাপী সংঘর্ষে একজন নিহত ও কমপক্ষে ২০ জন গ্ৰামবাসী গুরুতর আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় জনতা আহতদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফ হোসেন জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষের ঘটনায় একজন নিহত হয়েছে, তার মরদেহ ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। আগামীকাল সোমবার সকালে মরদেহের ময়না তদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হবে।
বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।